মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে সুদহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারের মুদ্রানীতি হওয়ায় আজ স্বস্তিতে কেটেছে দেশটির পুঁজিবাজার।
এবারের মুদ্রানীতিতে নীতি নির্ধারকরা রেপোরেট ৬ শতাংশে স্থির রেখেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন এই হারে স্বল্প সুদে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেবে। গত আগস্টে এই রেট দশমিক ২৫ শতাংশ কমানো হয়।
নতুন মুদ্রানীতিতে রিভার্স রেপো রেট ৫.৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৬ শতাংশ কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। আগের পূবার্ভাসে এটা ৭.৩ শতাংশ ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নিম্ন প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস ও মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে না ধরতে পারার আশঙ্কায় সুদহারে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
বাজারের প্রত্যাশানুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময়োপযোগী এ সিদ্ধান্তের কারণে আজ দেশটির পুঁজিবাজারে সেনসেক্স ও নিফটি সূচকে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা যায়।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে সেনসেক্স সূচক ২৩১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এসময় সূচকটি অবস্থান করে ৩১ হাজার ৭২৮ পয়েন্ট। এছাড়া এনএসইতে নিফটি সূচক চড়ে ৯ হাজার ৯৩২ পয়েন্টে।
এর আগে পুঁজোর সপ্তাহটা অবশ্য খারাপ পার করেছিল ভারতের পুঁজিবাজার। নিফটি সূচক ওই সময় ১০ হাজার থেকে নেমে আসে। সেনসেক্সও ৩২ হাজারের মায়া ত্যাগ করে। তেজি বাজার তখন হঠাতই নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
গত আগস্টের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.৩৬ শতাংশ। যা গত ৫ মাসে সর্বোচ্চ। মুদ্রানীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী অক্টোবর-মার্চ মেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে ৪.২ থেকে ৪.৬ শতাংশের মধ্যে পৌঁছাতে পারে।
সে হিসেবে আগামী শীতকালে ভারতে নিত্যপণ্যের দাম অনেকে বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে ব্যাপারে তারা কাজ করছে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৫ অক্টোবর ২০১৭