প্রশ্ন ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য মিজানুর রহমান মিলন (২৪) ও রাফসান চৌধুরীকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোড এলাকা থেকে র‌্যাব-১ এর একটি দল তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রশ্ন ফাঁসে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন চেক করে প্রশ্ন ফাঁসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন,  গ্রেফতার হওয়া মিজানুর রহমান ২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়। এরপর থেকেই সে এ কাজে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াও পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তনের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

আটক মিজান নিজেকে ঢাকা বোর্ডের কর্মচারী এবং বকশিবাজার এলাকায় বসবাস করত বলে জানাত। সে ফেসবুকের একাধিক একাউন্ট থেকে প্রশ্ন সরবরাহ করবে বলে আগাম পোস্ট দিত এবং এজন্য অগ্রিম টাকা বিকাশের মাধ্যমে চাইত। অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্ন পাওয়ার আশায় বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করত। এ ক্ষেত্রে মিজান কাউকে পূর্বের বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাটছাঁট করে সরবরাহ করত। আবার মাঝে মাঝে ফেসবুকের বিভিন্ন লিংক থেকে প্রাপ্ত প্রশ্ন সরবরাহ করত। প্রশ্নপত্র বাবদ সে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা নিত বলে স্বীকার করেছে। এ পর্যন্ত আনুমানিক সে ৮/৯ লাখ টাকা প্রশ্ন সরবরাহের নামে গ্রহণ করেছে।

অপর আটক রাফসান চৌধুরী এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকেই এক নিকট বন্ধুর মারফতে এ কাজে জড়ায়। সে প্রশ্ন ফাঁসসহ রেজাল্ট পরিবর্তনের জন্য মোটা অংকের টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করত।

২০১৬ সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আটকের পর সাত মাস কারাভোগ করে।

মিজানের মতো একই কৌশলে সে প্রথমে ফেইসবুকে প্রশ্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে অগ্রিম টাকা নিত। সে ২০১৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত আনুমানিক ৩-৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানায়।

এমআর/