সন্তান জন্মদানে মায়েদের প্রসব বেদনা উঠলেই সিজার করা হয়। সব ক্ষেতেই সিজার জরুরি ছিলো কি না তা খতিয়ে দেখবে সরকার। এ তথ্য জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, মাতৃমৃত্যুর হার আগের চেয়ে অনেক কমেছে। শুধু তাই নয়, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে আমরা এখন সিজারের বিষয়ে কঠোর হয়েছি। প্রতিটি সিজারিয়ান অপারেশনের বিষয়ে আমাদের অবগত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আগামী ৭ এপ্রিল সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৮’ পালন করা হবে। এবার স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা : সবার জন্য সর্বত্র’।
তিনি বলেন, চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে। শিগগিরই এই আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। আশা করছি এক মাসের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন হলে রোগী ও চিকিৎসক উভয়েরই নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে আইনটির মাধ্যমে সব ধরণের অপচিকিৎসাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বর্তমানে জিডিপির দুই দশমিক ৮ শতাংশই স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করছে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭১ দশমিক ৮ শতাংশ। যা আগে ছিল ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ। মাতৃমৃত্যুর হার এখন প্রতি লাখে ১৭৬ জন। যা আগে ছিল ৪২ শতাংশের বেশি।
তিনি বলেন, আমরা আগামী মাসে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেব। এ ছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হবে।
আগামী শনিবার, ৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/