কবি আল মাহমুদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম নামাজে জানাজাটি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। কবির দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
প্রথম জানাজায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এমাজ উদ্দিন আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, কবি আবদুল হাই শিকদার, শহিদুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও কবির পরিবারের সদস্যরা।
নামাজে জানাজায় অংশ নেয়া বক্তারা বলেন, কবি আল মাহমুদ ছিলেন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু দু:খের বিষয় তার মরা দেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার অনুমতি দেয়া হয় নাই। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও নেয়ার অনুমতি দেয়া হয় নাই।
জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কবি আল মাহমুদ ছিলেন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে তাতে গুরুত্ব অবদান রয়েছে তার। তিনি এই সমাজকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সে স্বপ্ন পূরণ হোক এটাই আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সমাজে কবি আল মাহমুদকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু আল্লাহতায়ালা তাকে নিয়ে গেলেন। মহান আল্লাহতায়ালা তাকে সর্ব উত্তম স্থান দান করুক সে দোয়া সবাই করি।’
কবি আল মাহমুদের ছেলে মীর মোহাম্মদ মনির বলেন, ‘বাবার ইচ্ছা ছিলো শুক্রবারে যেন তার মৃত্যু হয়। আল্লাহ উনার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। অজান্তে কোন ভুল করে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনারা দোয়া করবেন যেনো বেহেশত নসিব হয়।’
আজকের বাজার/এমএইচ