প্রোটিনে ভরপুর মাংসের স্বাদে ‘সয়াবিন কষা’

বাঙালি মানেই ভোজন রসিক। পাতে সুস্বাদু রকমারি খাবার না থাকলে যেন বাঙালির মনই ভরে না। নিরামিষ হোক বা আমিষ খাবার হতে হবে এমন, যেন আঙ্গুল চেটে খেতে হয়। তবে স্বাদ দেখলেই হবে না, খাবারটি স্বাস্থ্যকর কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। শরীরে প্রোটিন ভিটামিনের মাত্রা বাড়াবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে, তেমনি একটি খাবার হচ্ছে সয়াবিন কষা। সাধারণত প্রোটিন বলতে অনেকেই মাছ, মাংস, ডিম এইগুলোই বোঝেন। তবে এগুলো ছাড়াও সয়াবিন থেকে প্রোটিন পাওয়া সম্ভব।

সয়াবিন যেমন দামে কম তেমনি এতে প্রোটিনের মাত্রাও বেশি। সয়াবিন যদি ভালো মতো রান্না করা যায়, তাহলে মাংসের থেকে কোনো অংশে কম যায় না। সয়াবিন কষা এমন একটি ঘরোয়া রেসিপি, যা খেয়ে রীতিমত মাংসের স্বাদ পাবেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রেসিপিটি- উপকরণ: সয়াবিন, আলু কুচি কুচি করে কাটা বা অর্ধেক করে কাটা, টমেটো, গোলমরিচ, তেজপাতা, আস্ত জিরা, পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া, গরম মশলা, স্বাদমতো লবণ ও অল্প চিনি (স্বাদের জন্য)।

প্রণালী: প্রথমেই সয়াবিনগুলো ভালো করে ধুয়ে পানিতে ১০ থেকে ১৫ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সেগুলো থেকে পানি বের করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে সয়াবিনের মধ্যে লবণ, হলুদ দিয়ে ভালো করে ভেজে সয়াবিনগুলো তুলে নিন। এরপর আলুর টুকরোগুলো ভেজে নিন। এরপর কড়াইয়ে আবার তেল দিয়ে তাতে জিরা, গোলমরিচ, ফোড়ন তেজপাতা দিয়ে ভেজে নিন। এবার এতে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা ব্রাউন করে ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হলেই তাতে টমেটো কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। টমেটো থেকে পানি বেরিয়ে গেলে তাতে আদা-রসুন বাটা, পরিমাণ মত লবণ, হলুদ, ধনে, জিরা ও মরিচ গুঁড়া দিয়ে কষান। ভালো করে কষানো হয়ে গেলে তেল বেরিয়ে আসবে। তখনই সয়াবিন ভাজা আর আলু ভাজাগুলো কড়াইয়ে দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন।

এবার এতে পরিমাণমতোপানি দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা এতে স্বাদ বাড়ানোর জন্য অল্প চিনি আর গরম মশলা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে দিন। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু সয়াবিন কষা। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান