জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই দূষিত প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস করতে একটি আইনগত বাধ্যতামূলক কাঠামোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘের এক কনভেনশনে এ বিষয়ক একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ এতে স্বাক্ষর করেনি।
প্লাস্টিক বর্জ্য এবং বিষাক্ত ও বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থের ওপর জাতিসংঘ সমর্থিত দুই সপ্তাহের বৈঠক শেষে প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাসের জন্য বাধ্যতামূলক চুক্তিটি অনুমোদিত হয়।
বিপুল পরিমাণ বাতিল প্লাস্টিক পদার্থ সাগর, মহাসাগরে ভেসে বেড়ায়। এর প্রভাবে বন্য ও জলজ প্রাণীসমূহের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির কর্মকর্তা রোলফ পায়েট বলেন, জাতিসংঘ সমর্থিত বাসেল কনভেনশনের ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তির সঙ্গে বিশ্বের ১৮৬টি দেশ সম্পর্কযুক্ত। দেশসমূহকে প্লাস্টিকের বর্জ্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত খাত থেকে গ্রাহক বাজারে এটি বিশ্বের অন্যান্য অংশের অত্যন্ত শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক সংকেত পাঠাচ্ছে। আমাদের কিছু করার প্রয়োজন।’
এই চুক্তিটি স্বাস্থ্যসেবা, প্রযুক্তি, মহাকাশ, ফ্যাশন এবং খাদ্য ও পানীয়র মতো বিস্তৃত শিল্পে ব্যবহৃত পণ্যসমূহকে প্রভাবিত করে।
চুক্তির পদক্ষেপে নেতৃত্ব দেয়ায় নরওয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পায়েট। গত সেপ্টেম্বর এটি প্রথম উপস্থাপন করা হয়। এরপর থেকে অনুমোদন পর্যন্ত ঐতিহ্যগত জাতিসংঘের মান দ্বারা এটি পরিবর্তন করা হয়।
জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা বলেন, কাঠামোটি ঐতিহাসিক, কারণ এটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
‘এর মধ্য দিয়ে প্লাস্টিকের বর্জ্য আমদানি ও রপ্তানি করার জন্য একটি স্বচ্ছ ও শনাক্তযোগ্য ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি। তথ্য-ইউএনবি
আজকের বাজার/এমএইচ