প্লেসমেন্ট শেয়ারে সর্বোচ্চ ১ বছরেরা লক-ইন চেয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। গত ১৩ মে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) লিখিত আকারে এই প্রস্তাব দেয় বিএমবিএ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন কমিশনে দেয়া ৩টি লিখিত প্রস্তাবব হলো-প্লেসমেন্ট শেয়ারে লক-ইন, সর্বনিম্ন মূলধন উত্তোলনের পরিমাণ ও প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু নিয়ে গাইডলাইন তৈরী করা। এক্ষেত্রে প্লেসমেন্ট শেয়ারে সর্বনি ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর লক-ইন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
লক-ইন এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু নিয়ে কমিশনকে গাইডলাইন তৈরী করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে ৫০ কোটি টাকার পরিবর্তে সর্বনিম্ন ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে একটি কোম্পানির আইপিও পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাাবনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে বিএসইসির অনুমোদন লাগবে না, আইপিওকালীন সকল শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন থাকবে। লক-ইন প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করন প্রকাশের দিনের পরিবর্তে লেনদেন শুরৃর দিন থেকে গণনা করা হবে, আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা ও বুক বিল্ডিং মেথডে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে, আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং বুক বিল্ডিং মেথডে ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে প্লেসমেন্ট শেয়ারে সর্বোচ্চ ১ বছরের লক-ইন রয়েছে। কিছু কিছু দেশে এই লক-ইন আরও কম। যেমন ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুরে সর্বোচ্চ ১ বছরের লক-ইন রয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও হংকংয়ে ৬ মাস এবং মায়ানমারে সর্বোচ্চ ৩ মাসের লক-ইন ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
আজকের বাজার/মিথিলা