এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেওয়া বাড়তি ফি ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্টবেঞ্চ এ সম্পূরক আদেশ দেয়। এ সময়ের মধ্যে বাড়তি ফি ফেরত না দিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশও দেওয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কৌঁসুলি মিজানুর রহমান শুনানি করেন।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলেছে, বর্ধিত ফির কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে না। পাশাপাশি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি না নিতে পারে, তার জন্য প্রত্যেক শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ করতে হবে।
২০১৪ সালের শেষ দিকে আদালত জনস্বার্থে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ফরম ফিলআপের সময় নেওয়া অতিরিক্ত টাকা কেন ফিরিয়ে দেওয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেন।
২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি রুলের ওপর শুনানি শেষে আদালত অতিরিক্ত টাকা শিক্ষার্থীদের কাছে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে অতিরিক্ত টাকা না নেয়, সে ব্যাপারে প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশনা জারি করার নির্দেশ দেন।
আদেশের পর মিজানুর রহমান বলেন, হাইকোর্ট ২০১৪ সালে এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বাড়তি ফি আদায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত একটি রুলসহ আদেশ দিয়েছিল।
সম্প্রতি বর্ধিত ফি আদায়ের কিছু অভিযোগ নজরে এলে আদালত শিক্ষা বোর্ডগুলোকে বাড়তি ফি আদায় না করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলে। তারই ধারাবাহিকতায় মামলাটি বুধবার আদেশের জন্য রাখা ছিল।
আদালত আদেশে বলেছে, যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসএসসি, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণে বাড়তি ফি নিয়ে থাকে তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে হবে।
তা না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হবে। আর অতিরিক্ত ফির জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে না।
আজকের বাজার:এলকে/১৩ ডিসেম্বর ২০১৭