ফরিদপুরে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলায় জব্দকৃত ১২টি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
গত শনিবার রাত ১টার দিকে শহরের গোয়ালচামটে নতুন বাস টার্মিনালের পাশে রেখে দেওয়া এ বাসগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাউথ লাইন পরিবহনের ব্যানারে থাকা বাসগুলোর মালিক দুই হাজার কোটি টাকা অর্থপাচার মামলায় গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদ হোসেন বরকত। আদালতের নির্দেশে এসব বাস জব্দ করে ফরিদপুর পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছিল।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল জানান, এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. গাফফার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমদাদ হোসেনকে প্রধান করে এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, চারটি বিষয়কে সামনে রেখে পুলিশের তদন্ত চলছে। ব্যাংক ঋণের টাকায় কেনা বাসগুলো পুড়িয়ে ঋণ থেকে বাঁচতে কোনো চেষ্টা চলছে কিনা কিংবা বীমার টাকা পেতে এ কাজ করা হয়েছে কিনা সেটি দেখা হবে। এছাড়া গাড়িগুলো পুড়িয়ে অর্থপাচার মামলা হতে বাঁচতে, কোনো ফায়দা পেতে আগুন দেওয়া হয়েছে কিনা কিংবা আসামিদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কোনো পক্ষ নাশকতার জন্য এ কাজ করেছে কিনা সেটিও দেখা হবে তদন্তে। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হন বরকত-রুবেল ও তাদের ৯ সহযোগী। এরপর রাজধানীর কাফরুল থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় বরকত ও রুবেল এখন কারাগারে।
এদিকে, একই মামলায় গত ৫ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে। খবর-ডেইলি বাংলাদেশ
আজকের বাজার/আখনূর রহমান