ফসল না হওয়া পর্যন্ত খাদ্য দেবে সরকার

হাওরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যতদিন পর্যন্ত ফসল হবে না ততদিন পর্যন্ত সরকার খাদ্য দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যতদিন পর্যন্ত ফসল হবে না ততদিন পর্যন্ত সরকার খাদ্য দেবে। হাওরের ফসল রক্ষা করতে নদী খনন করা হবে। নদীভাঙা মানুষকে ঘর নির্মাণসহ পাহাড়ি জনপদের পাশাপাশি হাওরাঞ্চলে আবাসিক স্কুল করে দেয়া। না।

বৃহস্পতিবার ১৮ মে সকালে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় হাওরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিতরণের আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল নয়টার দিকে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে একটি হেলিকপ্টারে করে নেত্রকোণার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। পরে সকাল পৌনে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টরটি খালিয়াজুরী পৌঁছায়।

শেখ হাসিনা বলেন, হাওর এবং পাহাড়ি অঞ্চলে ছেলেমেয়েদের যাতায়াতে সমস্যা হয়। এই সমস্যা লাঘবে আবাসিক স্কুল নির্মাণ করে দেবে সরকার। আমরা সেই দিকে লক্ষ্য রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছি।

তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েদের বাবা-মাকে এখন আর পয়সা খরচ করে বই কিনতে হয় না। বই কেনার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। প্রতি বছরের মতো এবছরও আমরা বই বিতরণ করেছি। স্কুলে স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করে দিয়েছি।কতজন মানুষ গৃহহারা, ভূমিহীন-তাদের প্রত্যেককে বিনা পয়সায় ঘর করে দেওয়া হবে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় তারা ঘর পাবেন। এই জন্য ঘর তুলে দেবো কারণ আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। এই আওয়ামী লীগই দেশ স্বাধীন করেছে, আমাদের একটাই লক্ষ্য একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। দুমুঠো ভাত পাবে। আমরা সেই ব্যবস্থাই করছি।

এসময় তিনি বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি। আমি চাই আপনাদের জীবন মানের উন্নয়ন করতে। এই এলাকার বাবরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে খালেদা জিয়া বান্দরের হাতে লাঠি তুলে দিয়েছিল।এই এলাকার বারোজনকে হত্যা করেছিল।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শুধু ঢাকায় বসে কথা বলে, মির্জা ফখরুল এসেছিলেন, ফটোসেশন করে চলে গেছেন। খালেদা জিয়াও এখানে আসেননি। ত্রাণ দেননি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রী আমিনুল ইসলাম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সাংসদ রেবেকা মমিন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক ড. মো. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় প্রমুখ।

আজকের বাজার: আরআর/ ১৮ মে ২০১৭