রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে এবারের প্রবারণা পূর্ণিমায় পুরো বাংলাদেশে ফানুস না উড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়। ফানুস কেনার অর্থ দিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের সাহায্য করার কথা জানিয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশের সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ। অনুষ্ঠানে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠান পালন থেকে বিরত থেকে সেই অর্থ দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বিশ্বাসী। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এদেশের মানুষ হিংসাত্মক কাজে কখনোই সমর্থন করে না।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি শুদ্ধানন্ধ মহাথেরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বিশ্বাসী। আমরা কিছুদিনের মধ্যেই সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের পক্ষ থেকে মায়ানমারে ভিক্ষু পাঠাবো। রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করে কিভাবে মায়ানমারে দ্রুত শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায়, সে ব্যাপারে আমরা আলোচনা করবো।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের মুখ্য সচিব অশোক বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা ইতোপূর্বে বাংলাদেশে অবস্থানরত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছি। আমি নিজ উদ্যোগে চলতি মাসের দুই তারিখ ২০ সদস্যের একটি দল নিয়ে মায়ানমার গিয়েছিলাম। সেখানে মায়ানমারের বড় নেতারা ছিলেন। সেখানে আমরা বার্মায় রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছি। সেখানে আমি এও বলেছি আপনারা যে কাজ করছেন এটি অত্যন্ত জঘন্য একটি কাজ। আপনারা এই কাজ থেকে বিরত থেকে শান্তি অবস্থানে ফিরে আসুন। আপনারা গৌতম বুদ্ধের বাণীকেও অবমাননা করছেন।’
প্রশ্নোত্তর পর্বের এক পর্যায়ে অশোক বড়ুয়া বলেন, ‘মায়ানমারে যে সহিংসতা দেখা দিয়েছে তা গৌতম বুদ্ধের নীতি নয়। কিছু স্বার্থন্বেষী মহল স্বার্থকে কাজে লাগিয়ে এই রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। তারা এখন যা করছে তা গৌতম বুদ্ধকে অসম্মান করার শামিল।’
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭