ফিলিপাইনে সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, ৪৫ জন নিহত

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৪৫ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে বেশকিছু লোক। রোববার সকালে প্রায় একশ’ আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। কর্মকর্তারা এ খবর জানান।
সুলু প্রদেশের জোলো দ্বীপে সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানটি বিধ্বস্ত হলে সেখান থেকে ৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৪২ জন সৈন্য এবং বাকী তিন জন বেসামরিক লোক। এছাড়া আহত হয়েছে ৪৯ জন সামরিক ও চারজন বেসামরিক লোক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সামরিক বাহিনীর পাঁচ সদস্য এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
গত ৩০ বছরের মধ্যে ফিলিপাইনে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা।
ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান জেনারেল সিরিলিতো সোবেজানা বলেন, রোববার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুলু প্রদেশের জোলো শহরের কাছে সামরিক বাহিনীর ওই বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কাগায়ান দে ওরো এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও যাচ্ছিল বিমানটি।
এদিকে দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিধ্বস্ত বিমানটির ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে বিমানটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। গাছগাছালি পরিবেষ্টিত একটি স্থানে বিধস্ত হয় বিমানটি। দুর্ঘটনাস্থলের কাছে কিছু ভবনও দেখা যায়।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। ফিলিপাইন বিমানবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেনার্দ মারিয়ানো বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হবে। ’
সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল এডগার্ড আরেভালো ডিজেডবিবি রেডিওকে বলেছেন, এই ঘটনাকে হামলা হিসেবে নয়, দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
বিমানটির আরোহীর অধিকাংশই সেনা গ্রাজুয়েট। এরা সম্প্রতি সেনাবাহিনীর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছিল। তাদের দেশটির মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ের অংশ নেয়ার জন্য পাঠানো হচ্ছিল।