‌ ফুড ভ্যালু চেইন ঠিক হলে দাম কমে যাবে নিত্য পণ্যের

প্রতিদিন আমরা নিত্য নৈমিত্তিক যেসব পণ্য খাচ্ছি, এগুলো কিন্তু একটা ফুড ভ্যালু চেইন এর মাধ্যমে আমাদের কাছে অর্থাৎ আমাদের কিচেন পর্যন্ত একেবারে পৌঁছে যায় বা চলে আসছে। ভ্যালুচেইন টা আসলে কি? আমরা যেটাকে ক্রপ ফুড ভ্যালুচেইন বলি অর্থাৎ মাঠ ফসলের ভ্যালু চেইন, এটা শুরু হয় বিডিং থেকে। তারপরে হয় সীড, তারপর ইমপোর্ট এন্ড প্র্যাক্টিসেস। তারপর পোস্ট হারভেস্ট, তারপর প্রসেসিং। ফাইনালি মার্কেটপ্লেসে আসে অথবা রিটেল চেইনে আসে। এই প্রসেসটা কিন্তু সব দেশের জন্যই একই। যেসব দেশ খাদ্য উৎপাদন করে তাদেরও একই প্রসেস। আবার যারা একেবারেই কিছু উৎপাদন করে না, যেমন সিঙ্গাপুর তাদেরও কিন্তু একই প্রসেস। যারা খাদ্য উৎপাদন করে, তাদের প্রক্রিয়াটা যদি আমরা বুঝতে পারি, তাহলে বুঝতে পারব আমাদের এই সার্বিক যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেটা কেন হল এবং এটা বারবার হবে, সেটা আমরা সহজেই মেনে নিতে পারব।

সিঙ্গাপুরে কিন্তু কোন ক্রপ বা ফসল উৎপাদন হয় না। গ্রিনহাউসে অল্প কিছু করে, খুব বেশি না। তাহলে কি করে সেদেশে? যেহেতু তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো উন্নত, সে জন্য তারা খাবার কেনে। পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে তারা খাবার কেনে। তাদের এইটা এমন ভাবে এলাইন বা বন্দোবস্ত করা আছে যে, যেখানে যেটা দরকার সেভাবে ব্যবস্থা করা আছে। পোর্ট অ্যান্টি হওয়া থেকে শুরু করে স্টোরেজে নেওয়া। নেওয়ার পর এটাকে প্রসেস করা, প্রসেস করার পরে এটা প্যাকেজিং করা, প্যাকেজিং করার পরে এটা মার্কেটে রিটেল চেইনের মাধ্যমে সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া বা সরবরাহ করা, এসব কিছুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে সারা বছর তারা জানে কোন ফসল কখন কোন খাদ্য কখন উৎপাদন হচ্ছে। মুরগি, মাছ, ডিম, গরুর মাংস, চাল, ডাল, চিনি যা যা কিছু প্রয়োজন, কোথায় পাওয়া যাবে, কখন কোন সময় কোথা থেকে কিনতে হবে, ওটা ওরা জানে। সেগুলো তাদের এন্ট্রি করা আছে। সে অনুসারে তারা সেগুলো আনে। আনলেই তো হবে না, সেগুলোকে আবার স্টোরেজ করতে হবে, না হলে তো একদিনেই শেষ হয়ে যাবে। স্টোরেজের সেই ধরনের ক্যাপাসিটি থাকতে হবে।

সিঙ্গাপুরে দু ধরনের স্টোরেজ সিস্টেম আছে। একটা অ্যাম্বিয়াণড, আর একটা কোল্ড স্টোরেজ। খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণের সুব্যবস্থা আছে। যেটা যে ধরনের প্যাকেজিং করা দরকার সে ধরনের প্যাকেজিং করে সারা দেশে, সব জায়গায় সরবরাহ করে দেয়া হচ্ছে এবং একটা সুষম দামে, সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে থাকছে। ফলে সারা বছর একটা নির্দিষ্ট দামে কিনে খেতে পারছে। এতে করে দাম খুব একটা উঠানামা করে না। ওখানেও কিন্তু ট্রেডার আছে, মধ্যস্বত্ব ভোগী আছে। তার পরেও সবাই জানে যে, যেহেতু এখানে সরবরাহ ঠিক থাকে বা সাপ্লাই চেইনটা ঠিক থাকে। এজন্য এখানে দাম হেরফের করার সুযোগ নাই। এটা কিন্তু আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না। একটা সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। একটা ভ্যালু চেইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।

পক্ষান্তরে আমাদের দেশে কি হয়েছে! স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশে প্রধান ফোকাস হচ্ছে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো। কারন আমাদের এত খাদ্য ছিল না। এবং এই উৎপাদন কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ বেড়েছে গত ৫০ বছরে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি আরও যেসব বিষয়গুলো হতে পারত সেগুলো কিন্তু হয়নি।বাজেট ডিক্লারেশন হয়, সেখানে ইনপুট প্রাইজ যাতে কন্ট্রোলের মধ্যে থাকে সেই চেষ্টা করা হয়। বিশেষ করে সার বা ফার্টিলাইজার এ সাবসিডি বা ভর্তুকি দেয়া হয়। সেচ যন্ত্রে ভর্তুকি দেয়া হয়। চাষবাসের যন্ত্রপাতিতেও ভর্তুকি দেয়া হয়। যাই করা হয়েছে বা হচ্ছে সেটার শুধু লক্ষ্যই ছিল উৎপাদন বাড়াও, উৎপাদন বাড়াও। আমাদের এক্সটেনশন সার্ভিস কিন্তু এই কাজটিই করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের যে বিডিং ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। সার ছাড়া অন্যান্য ইনপুট যে বাড়াতে হবে এবং সহজলভ্য করতে হবে। এবং সেই প্র্যাকটিসটা করতে হবে যে, কি করলে উৎপাদন বাড়বে, কত গুণ বাড়বে, নতুন ভালো যে জাতগুলো আছে, সেগুলোকে কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে, সে ব্যাপারে কিন্তু সামান্য কিছু সার্ভিস থাকলেও ব্যাপকভাবে নাই।

তারপর এটা হারভেস্ট করার পরে কি করতে হবে তেমন কোন ব্যবস্থা নাই। ট্রান্সপোর্ট করতে হবে কিভাবে তেমন কোন ব্যবস্থা নাই। প্রায়ই শুনবেন ট্রেনে করে সবজি আনা হবে। কত সবজি আনবে কোথা থেকে আনবে, কার সবজি আনবে, কতটুকু আনবে এসব কথাবার্তা নাই। তারপরে এটাকে প্রসেস করতে হবে। প্রসেস হচ্ছে।আমাদের যা প্রসেস বা প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়, তার বেশিরভাগই কিন্তু আমদানিকৃত কাঁচামাল। স্থানীয় কাঁচামাল কিন্তু খুব একটা প্রক্রিয়াজাত হয় না। ফরওয়ার্ড লিংকেজে মর্ডান রিটেইল চেইন বলতে আমরা যেটা বুঝি, সেটা রিটেল চেইনের মাত্র ২ শতাংশ। আর বাকি ৯৮% প্রাইভেট সেক্টরে। অর্থাৎ পুরা সিস্টেমটা কিন্তু এখনো যথাযথভাবে হয়নি বা অ্যালাইন হয়নি। এ ব্যাপারে কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এমনকি বছরের পর বছর ধরে যে বাজেট ঘোষণা হয়ে আসছে যে ৫০ বছর ধরে, কখনো কিন্তু বলা হয়নি যে, এটা ফুড ভ্যালু চেইনের বাজেট। বলা হচ্ছে উৎপাদন বাড়ানোর বাজেট। বলা হচ্ছে রিসার্চ এর বাজেট। বলা হচ্ছে এক্সটেনশনের বাজেট। কিছুটা ইনপুটের বাজেট। তার মানে হল, এখন থেকে বাজেট ঘোষণার সময় মাথায় রাখতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে খাদ্য পেতে হবে একটা ইউনিফর্ম প্রাইজে। সিস্টেমেটিক প্রাইসে, কমবেশি না। এই কাজটা কিন্তু আমাদের করতে হবে।

এটা করতে হলে কি করতে হবে? রিসার্চ করতে হবে। আবার রিসার্চে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
আগে যেটা হতো আপনি যা ভ্যারাইটি করে খামারিকে দিলেন, খামারি উৎপাদন করল। উৎপাদন করার পর যা ফসল হলো মোটামুটি বিক্রি করে তারা টাকা পেল। যারা কেনার তারা কিনে স্টোর করল। অল্প স্বল্প কিছু করলো।

কিন্তু এখন তো এমনটা নাই। আমি যা রিসার্চ করি এর মধ্যে ইনভাইরনমেন্টাল চ্যালেঞ্জ চলে এসেছে। আমি যে ধান আগে করতে পারতাম সারা বছরই হতো। এখন কিন্তু তা হয় না। কারণ বন্যা হচ্ছে পানির নিচে চলে যাচ্ছে কয়দিনের জন্য। এই সহনশীল ধান দরকার। টেম্পারেচার ডে আর নাইটের ডিফারেন্স হয়ে যাচ্ছে ১০ ডিগ্রির বেশি। সেখানে ফুল ফল হবে না তার জন্য ভ্যারাইটিজ দরকার। এখন যেহেতু মিডেল ক্লাসের সংখ্যা প্রায় থার্টি মিলিয়নের উপর হয়ে গেছে, এরা কিন্তু ছোট চাল চায়। আপনার মোটামুটি যারা কর্মঠ লোক তারা মোটা চাল চায়। এই ভেরিয়েশন টা বেড়ে গেছে। মূলকথা হচ্ছে রিসার্চ থেকে শুরু করে রিসার্চটাকে অ্যালাইন করতে হবে মার্কেটের সাথে। গবেষণায় যে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে সেটা দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে। সেটা হতে পারে ডিজিটালি, হতে পারে সরাসরি। যেভাবেই হোক পৌঁছাতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অথবা বেসরকারি কর্মকর্তাদের কাজে লাগাতে হবে।

মেকানাইজেশনকে পুরোপুরিভাবে সর্বক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। তার কারণ হল মেকানাইজেশন করলে কস্ট অব প্রোডাক্ট যৌক্তিক ভাবে কমে যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধান চাষটাকে যদি পুরাপুরি ম্যাকানাইজেশন করা যায়, তাহলে প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ কমে যাবে। এখন এক কেজি ধান উৎপাদন করতে ৩০ টাকা খরচ হয় তখন ১৮ টাকায় ১ কেজি ধান উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আমাদের দেশের সাধারণ কৃষক ১৮ টাকায় ধান উৎপাদন করে যদি২৫ টাকায় বিক্রি করে, তাহলে খুব খুশি হবে। কিন্তু এখন ৩০ টাকায় বিক্রি করেও খুশি হচ্ছে না। কারণ হলো খরচ বেড়ে গেছে। শুধুমাত্র ধান নয় সব ক্ষেত্রেই মেকানাইজেশন কে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে।

অন্যান্য ইনপুট এ্যভেইলেবল করতে হবে। আগের ট্রেডিশনালি নাইট্রোজেন, ফসফেট, পটাশিয়াম দেওয়া হতো এখন এগুলোর পাশাপাশি গ্রোথ রেগুলেটর লাগবে। তাতে প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যাবে, খরচ কমে যাবে। এ তো গেল উৎপাদন। হারভেস্ট করার পরে রাখবেন কোথায়? আগের দিনে খামারিরা তার বাড়িতে রাখতো। এখন তো সেটা নাই, শোয়ার জায়গা নাই গোলা রাখবেন কোথায়। তাহলে ধান কোথায় যাবে? মিলারের কাছে রাখবে। দেশে আইন আছে, একজন মিলার ৪৫ দিন যেটুকু প্রসেস করতে পারে, ততটুকু সে মাত্র ধান স্টোর করতে পারবে। তাহলে বাকি ধান কোথায় যাবে? হয় লুকায় রাখতে হবে, আর না হলে তাড়াহুড়া করে বিক্রি করতে হবে। এসবের ফলে প্রসেসিংগের প্রভাব পড়ছে। আমাদের দেশে যে সমস্ত খাবার উৎপাদন করি এগুলোকে যদি আমরা প্রসেস করে বিক্রি করতে পারতাম তাহলে কি হতো, বাহির থেকে প্রচুর পরিমাণ চিনি আনতে হতো না। গম আনতে হতো না। ভুট্টা আনতে হতো না। তেল আনতে হতো না। আমরা যে সমস্ত স্নাক্স ফুড উৎপাদন, করি তার সমস্ত কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। যেমন তৈরি পোশাক খাতে আমরা রপ্তানি করে ঠিকই কিন্তু সমস্ত কাঁচামালি আমদানি করি।

আমরা যা উৎপাদন করি এগুলো প্রসেস করলে কি হত। আগে একটি স্কুলের সামনে সাতজন আটজন স্ট্রিট সেলার বসতো। চানাচুর মুড়ি চিড়া গুড় বিক্রি হত। এখন দোকান আছে সেখানে প্যাকেট করা চানাচুর মুড়ি ভাজা পাওয়া যায়। এসব প্যাকেটের র মেটেরিয়াল আমদানি করা। পটেটো ফ্লেভার ইমপোর্ট করা অথবা গম আমদানি করা, চিনি আমদানি করা, তেল আমদানি করা। ফলে কৃষক উৎপাদন করল, কিন্তু কোথায় বিক্রি করবে। তখন দাম কমে গেলো। তাহলে দামটা ঠিক রাখার জন্য কি করা উচিত। আমাদের দেশে এই ১০ লক্ষ ২০ লক্ষ স্ট্রিট সেলার আছে এদেরকে ট্রেনিং করানো যেতে পারে। ট্রেনিং করার পরে তাদের হাইজিন সেফটি শিখিয়ে অনেক সুন্দর করে, গ্লাসের মধ্যে খাবার রাখা যেতে পারে। দেখবেন মাঝে মাঝে ঠেলাগাড়ির মধ্যে সিংগারা সুন্দর কাচ দিয়ে ঘিরে বিক্রি হচ্ছে। মানুষ কিনে খাচ্ছে, আমিও কিনে খাই। তার কারণ হচছে এটা নিরাপদ। এটাকে হাজারগুনে বড় করে দেওয়া যায়। প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে একটা এই ধরনের নিরাপদ দোকান থাকবে। তাহলে কি হবে দেশীয় উৎপাদিত কাঁচা মাল ব্যবহৃত হবে। এর ফলে আলটিমেটলি টোটাল ফুড ভ্যালু সিস্টেমের একটা মার্কেট তৈরি হবে। একইসঙ্গে যতটুকু দরকার ততটুকুই উৎপাদন হবে। এবং যখন দরকার যতটুকু তখন পাওয়া যাবে।যেহেতু স্টোরে আছে।


পাশাপাশি যদি রিটেল সিস্টেমটাকে ডেভেলপ করা যায়, তাহলে সার্বিকভাবে ফুড ভ্যালু চেইনটা তখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। তখন মার্কেটে কিন্তু প্রাইজ স্টেবল হবে। তা নাহলে কোনদিনও কিন্তু আইন করে নিত্য পণ্যের দাম বা খাবারের বাজার দর ঠিক করা যাবে না। আইন করলে সমস্যাটা কি হচ্ছে, পুলিশ নিয়ে যখন তল্লাশিতে যাচ্ছেন বা রেইড করছেন, তখন কি হচ্ছে মার্কেট খালি হয়ে যাচ্ছে। মার্কেট খালি হলে ওই জায়গায় মানুষ বাজার করতে যাচ্ছে, তখন মার্কেটে দাম বেড়ে যাচ্ছে। রেড করার কোন প্রয়োজন নাই তো। এটা আপনার কাজ আপনার করতে হবে। সরকারের কাজ হচ্ছে, পুরা ফুড ভ্যালু চেইনকে স্টাবলিশ করা এবং সেটা করতে হবে। এটাকে বাজেট প্রসেসিং আনতে হবে। বাজেট প্রসেসে থাকলে সুবিধা হবে প্রত্যেকটা সেক্টরে কাজ হবে।

উৎপাদন যেভাবে বাড়িয়েছে সরকার, একইভাবে কিন্তু রিসার্চে ক্যাপাসিটি বাড়বে। উৎপাদন প্রক্রিয়াতে ফার্ম ম্যাকানাইজেশনকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে খরচ কমিয়ে আনতে হবে। আপনার স্টোরেজ থাকবে, যখন দরকার যতটুকু দরকার ততটুকু সাপ্লাই হবে। প্রসেস করা থাকবে। আবার ওয়েস্টও কম হবে। এই প্রসেস ফুডের খাবার মেয়াদ চলে যাবে না। মানুষ কিন্তু স্টোরেজ ফুড কিনে খেতে পারবে। মার্কেটপ্লেস থাকবে যেখানে মানুষ যেয়ে নির্দিষ্ট মূল্যে জিনিস কিনতে পারবে। আপনি দেখবেন যতগুলো রিটেইল চেইন আছে তারা কিন্তু আজকে যে রেট তারা রেট চেঞ্জ করে না এদের রেট চেঞ্জ হয় ১৫ দিন ২০ দিন পর পর। তার কারণ হলো তাদের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ আছে। সেখান থেকে সঠিক দামে পণ্য পায় এবং সঠিক দামে পণ্য বিক্রি করতে পারে।

এইভাবে যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, তাহলে দেখা যাবে সার্বিকভাবে পণ্যের দাম কমে যাবে। আপনি যদি মার্কেটে দেখেন তাহলে দেখা যাবে, সবজির দাম সার্বিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এর একটা কারণ হলো, যেসব জায়গায় সবজি উৎপাদন হয়, সেখানে এবার বন্যা হয়েছে। ফলে সবজির উৎপাদন কমে গেছে। এখন যারা সবজি খেত, তারা তো না খেয়ে থাকবে না। তাদেরকে কিনতেই হচ্ছে। এজন্য দামও বেড়ে গেছে। ভালো দাম পাওয়ার কারণে খামারিরা এখন ঝাপিয়ে পড়ে সবজি, মুরগি, ডিম মাছ উৎপাদন করছে, ফলে এগুলোর দাম কমে আসছে। এটাই প্রচলিত ধারা। এর বাইরে কিন্তু কিছু নাই।

ড. এফএইচ আনসারী
প্রেসিডেন্ট
এসিআই এগ্রিবিজনেসেস