কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর আবারও হামলা চালানো হয়েছে।
সোমবার (২ জুলাই) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ শুরু করার আগে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগ নেতা মোটরসাইকেলে করে শহীদ মিনারে এসে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে মারধর করে এবং মোটরসাইকেল দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ভাইদের গায়ে হাত তুলেছে, মারধর করেছে। আমাদের গায়েও হাত দিয়েছে। আমাদেরকে ধর্ষণ করবে বলে হুমকি দিয়েছে। তারপরও কেউ তাদেরকে ঠেকাতে আসে নাই। দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, আমরাও নারী। আমাদের এ ধরনের হুমকি, গায়ে হাত তোলা প্রধানমন্ত্রীর সম্মানকেও ক্ষুণ্ণ করে।’
তারা আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মতো একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে ছাত্রলীগ দিয়ে প্রতিহত করা যাবে না।
এর আগে শনিবার (৩০ জুন) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলন করার সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগ এই হামলা চালিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
আরজেড/