ফেসবুকে মিথ্যা প্রকাশ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে: রাবি উপাচার্য

ফেসবুকে মিথ্যা কথা প্রকাশ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান।

তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কি বেচে নেই? এই মিথ্যার বিরুদ্ধে কি প্রতিরোধ করতে পারেন না? মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ছিল, সেই কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কারা? মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা সেই আন্দোলন প্রতিরোধ করতে পারেন না?

শনিবার (১২ মে) ভারত সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের স্কলারশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় রাজশাহীর ভারতীয় হাই কমিশন ২৬৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের স্কলারশিপ প্রদান করে। ২৪ হাজার ও ১০ হাজার টাকার দুই ক্যাটাগরিতে চেক প্রদান করা হয়।

উপাচার্য বলেন, ‘দরকার ছিল দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা না করে রাজাকারদের তালিকা করা। কারণ আজ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে গিয়ে কত অমুক্তিযোদ্ধার নাম চলে আসার কারণে আসল মুক্তিযোদ্ধা কাতারেই আর থাকলো না। কি কষ্ট তারা করছেন। অনেকেই ভিক্ষা করে, রিক্সা চালিয়ে জীবনযাপন করতে দেখেছি।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধের সময় বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাত কোটি তখন ভারতে আমরা আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় এক কোটি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এ দেশের মানুষদের তিন বেলা খাইয়েছেন, জায়গা দিয়েছেন। ভারত আমাদের সাথে মানবিক আচরণ করেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধুত্বের হাত ঘাড়েই থাকে, কখনো পিঠে যায়না। বিভিন্ন সময়ে দেশে উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে এগিয়ে এসেছে ভারত। সেই ধারাবাহিকতাই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ দুটি রাষ্ট্র। কিন্তু ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস সবই এক।’

রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রী অভিজিৎ চট্টপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারের দ্বিতীয় সচিব শ্রী একে মিশ্র, রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি ড. আ. মান্নান।

অন্তু/রাসেল/