ফেসবুক টুইটার স্কাইপিও মনিটরিংয়ে আসছে বিশেষায়িত প্রযুক্তি

অপরাধ বা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ ক্রমেই বাড়ছে। প্রযুক্তি বিকাশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অপরাধের ধরনেও থাকছে ভিন্নতা। এসব অপরাধীদের সনাক্তে হিমসিম খেতে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষায়িত প্রযুক্তির কারিগরি যন্ত্রপাতি কিনতে চায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে আরও ভালোভাবে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংসহ ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও মনিটরিং করা যাবে।

জানা গেছে, এসব প্রযুক্তি কিনতে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

চিঠিতে বলা হয়- বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিটি প্রতারণা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হুমকি, জঙ্গিবাদ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মোবাইল ফোন এবং মোবাইল ফোনভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ সমস্ত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনে এবং স্বল্প সময়ে অপরাধী সনাক্তে উচ্চ প্রযুক্তির কারিগরি সরঞ্জাম জরুরি। গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে মোবাইল ইন্টারসেপ্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইন্টারনেট প্রযুক্তির অপব্যবহারকারীরা বিকল্প ও উন্নত যোগাযোগ মাধ্যমের সহজলভ্যতার কারণে দিন দিন ওয়েববেইজড ডাটা প্লাটফর্মের দিকে ঝুঁকছে। অপরাধীদের যোগাযোগ ও বার্তা প্রদানের মাধ্যম ফেইসবুক, টুইটার, স্কাইপি ইত্যাদি মনিটরিং এবং সনাক্তকরণ চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। তাই ওয়েববেইজড প্রযুক্তির অপরাধ দমনে ওয়াই ফাই ইন্টারসেপশন সিস্টেম প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে চিঠিতে জানান সংস্থাটির পরিচালক (প্রশাসন) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি, এনডিসি, পিএসসি।

তবে মোবাইল ইন্টারসেপ্টর এবং ওয়াই ফাই ইন্টারসেপ্টরের মতো বিশেষায়িত কারিগরি এসব যন্ত্রপাতি উন্মুক্ত বা আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কিনতে চায় না এনএসআই। সংস্থাটির মতে এর ফলে তাদের কার্যক্রম ও তথ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।

এছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যন্ত্রপাতির ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে ডিজিটাল অপরাধে মাঠে নামতে পারে সংস্থাটির সদস্যরা।

এদিকে, সাইবার অপরাধ দমনে প্রয়োজনীয় এসব যন্ত্রপাতি সরাসরি পদ্ধতিতে ক্রয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর হতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্, গুলশানের হলিআর্টিসানে জঙ্গি হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় সরকার।

ডিএমপির অধীনে গঠন করা হয় কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। পুলিশ বাহিনীকে দেয়া হয় ভেহিক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার, প্রপার্টি ট্র্যাকিং সফটওয়্যার, হিডেন ক্যামেরা ফর ইন্টিলিজেন্স ওয়ার্ক, ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামার, মোবাইল ট্র্যাকার, পোর্টেবল এক্সক্লুসিভ ডিক্টেটর, মোবাইল ভিডিও সার্ভিল্যান্স, সিডিআর এনালাইজার ইত্যাদি।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২২ নভেম্বর ২০১৭