এক সময় সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামীদের কাছে আদর্শের নাম ছিলেন মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি প্রায় দুই দশক গৃহবন্দী ছিলেন। দীর্ঘ এই সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবেই পেয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘নোবেল’। ছোট-বড় আরও অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন এই নারী নেত্রী। তবে সব অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে তার সাম্প্রতিক নীরবতার জন্য।
নভেম্বর মাসের শুরুতে তাকে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ খেতাব ফিরিয়ে নেয় ব্রিটেন। এবার তাকে আয়ারল্যান্ডের পক্ষ থেকে দেয়া ‘ফ্রিডম অব ডাবলিন’ খেতাবও ফিরিয়ে নেয়া হলো।
সু চি কে দেওয়া এই খেতাব ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে। বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর তার চূড়ান্ত ফায়সালা হলো।
সু চি ২০০৬ সালে গণতন্ত্রের জন্য আরেক সংগ্রামী বব গেলডফের সাথে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে ২০১২ সালের জুন মাসে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এ বছর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বব গেলডফ বলেন, সু চি’র সঙ্গে যৌথভাবে তিনি এই পুরস্কার নেবেন না। কারণ তিনি মুসলিমদের গণহত্যায় পরোক্ষভাবে মদদ দিচ্ছেন। গেডলফ এই পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত বলেও জানান।
তারপর থেকেই এ নিয়ে ভাবতে থাকে ডাবলিন কর্তৃপক্ষ। যার প্রক্রিয়া শেষ হলো প্রায় এক মাস পর।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বহুবছর ধরেই মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চলছে। তবে এ বছরের আগষ্টে এসে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত সাড়ে তিন মাসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র: আইরিশ টাইমস।
আজকের বাজার:এলকে/১৪ ডিসেম্বর ২০১৭