বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট এখন ফ্লোরিডার লঞ্চ প্যাডে। উৎক্ষেপণের প্রাক্কালে স্যাটেলাইটটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী কয়েক দিন এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। তারপরেই জানা যাবে উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত তারিখ। তবে এখন পর্যন্ত ২৪ এপ্রিল স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে রাখা আছে।
বিটিআরসির সূত্র জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি নির্মাণ প্লান্ট হতে বের হয়ে ফ্র্যান্সের নাইস বিমানবন্দরে গেছে। পরে সেখান থেকে অ্যানতোনাভ কার্গো উড়োজাহাজে করে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পথে যাত্রা করে। ৩৭ টন ওজনের এই স্যাটেলাইটটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সময়ে শুক্রবার ফ্লোরিডার ক্যাপ ক্যানাভেরালে অবস্থিত স্পেসএক্সের লঞ্চ প্যাডে নামে। বাংলাদেশে ততক্ষণে শনিবার শুরু হয়ে গেছে।
এরপরই ক্যানাভেরালের স্পেস শাটলের কার্গো বে ফ্যালকন-৯ এ ইন্ট্রিগ্রেশন, টেস্টিং এবং ফুয়েলিংয়ের কাজ করা শুরু হয়। ফ্যালকন-৯ এর আপগ্রেডেড ব্লক-৫ ভার্সনে প্রথম উৎক্ষেপণ হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। যার নির্মাণ কাজ কিছুদিন আগে মাত্র শেষ হয়েছে।
এর আগে এটির উৎক্ষেপণ তারিখ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, পরে ৩০ মার্চ এবং ৫ এপ্রিল হতে পিছিয়েছে।
মূলত নভেম্বরে ফ্লোরিডায় বন্যা এবং নতুন স্পেস শার্টল নির্মাণের জন্যেই কিছুটা বেশি সময় লাগল বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
স্যাটেলাইটি উৎক্ষেপণের পর গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে সেটি সরাসরি সংযুক্ত করা হবে। তবে বাংলাদেশের ভূমি থেকে উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এর একটি গাজীপুরের জয়দেবপুর এবং অপরটি রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়।
বেতবুনিয়ার গ্রাউন্ড স্টেশনটি ব্যাকআপ স্টেশনে হবে। মূলত কাজ হবে জয়দেবপুরের স্টেশনেই।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি অরবিটে পৌঁছাতেই তিন সপ্তাহ লাগবে। অরবিটে পাঠানোর পরেও থ্যালাস সেটি পর্যবেক্ষণ করবে। তবে সেই সঙ্গে বাংলাদেশের এই গ্রাউন্ড স্টেশনে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।এটি উৎক্ষেপণের পর ইন-অরবিট টেস্ট বা আইওটি শেষে ৩ মাস পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হতে সেবা পাওয়া যাবে।
এমআর/