বগুড়ায় পাটের সুদিন ফিরেছে

পাটের সুদিন ফিরেছে। এ বছর বগুড়ায় পাটের ফলনে কৃষক ভালো দাম পাওয়ায় খুশি। এ বছর বগুড়ায় ১২ হাজার ১৬ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছিল ৩১ হাজার ৫শ’ মেট্রিকটন। গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় এবার পাট চষে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। গত বছর বগুড়ায় ১২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুম ৪ হাজার ১১০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি অফিসার ফরিদুর রহমান জানান এক বিঘা জামিতে পাট চাষে কৃষক খরচ পড়ে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা।

এবার কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম করার আশাবদ ব্যাক্ত করেছেন জেলার কৃষি বিভাগ। গত মৌসুমে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় পাটের ফলন ভালো হয়নি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বগুড়াতে বিঘা প্রতি পাটের ফলন হযেছে সাড়ে ৯ মণের অধিক বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জেলায় পাটের মধ্যে তোষা জাতের উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে।

ইতমধ্যে জেলায় ৯৭ শতাংশ জমির পাট কাটা হয়ে গেছে। এ দিকে হাটে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। এবার পাটের বাজার কৃষককের অনুকূলে। জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট সোনাতলা , গাবতলীতে বেশি পাটের চাষ হয়ে থাকে। গত মৌসুমে বন্যা জনিত কারনে পাটের ফলন বিপর্যয় দেখে দেয়। ফলে হাটে প্রতিমণ পাট ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটে মঙ্গলবার ৩ হাজার টাকা মণদরে পাট বিক্রি হয়েছে।

হাটে ফড়িয়াদের কারনে পাট চাষিরা পাটের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে থাবে। সারিয়াকান্দি উপজেলার কৃষক হাসেম জানান, চলতি মৌসুমে নতুন পাটের দাম ছিল সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এ অবস্থা থাকলে পাটের সঠিক মূল্য পাবে।

জেলা মুখ্য পাট কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান,এবার পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। পটের ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। গত বছর বন্যার কারণে ফলন বিপর্যয় দেখা দেয়। কিন্তু এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় ১৪ টি পাট কল আছে। এ সব পাটকল পাট কেনা শুরু করলে পাটের দাম আরো বাড়বে। জেলা পাট কর্মকর্তাদের হিসেবে এবার জেলায় ১ লাখ ৭০ হাজার বেল পাট উৎপাদন হতে পারে। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান