বঙ্গবন্ধু কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে গেছেন: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবনজুড়ে কৃষি ও কৃষির উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে গেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই বাংলার চিরদু:খী ও নির্যাতিত চাষির উন্নয়নে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ নিতে পেরেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু কৃষি উন্নয়নের যে ভিত্তি রচনা করেছিলেন সেটিকে অনুসরণ করে, সেই ভিত্তির উপর ভর করে, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্রমাগতভাবে কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এর ফলেই কৃষি উৎপাদন ও উন্নয়নে আজ বিস্ময়কর সাফল্য এসেছে। বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা: আগামীর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনষ্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, সাংবাদিক শাইখ সিরাজ ও প্রাণ-আরএফ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খাঁন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিদ্যুৎ সহ অনেক খাতেই আমরা আজ স্বয়ংসম্পূর্ন। কৃষিতে আমাদের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। দেশে ও দেশের বাইরে পণ্যের গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ২ শতাংশ সুদে ঋন প্রদানে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন,কৃষি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রস্তাবের ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করব। এছাড়া এ বছর আলুর যে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হয়েছে সেটা যথার্থ কাজে লাগানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষির যতটুকুই উন্নয়ন, তার ভিত রচনা করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কৃষিতে ব্যাপক রুপান্তর ঘটাতে চেয়েছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পরে যখন কোষাগার ছিলো শূন্য, কৃষিতে ছিলো নাজুক অবস্থা, সে সময়েই কৃষকের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা থেকে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন কৃষি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পপণ্য এবং পচনশীল কাঁচা সবজি,আলু, ফলমূল ও বীজ জাতীয় ফসল দীর্ঘ সময় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আধুনিক হিমাগার স্থাপনে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে এসব হিমাগার প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মূল প্রবন্ধে ড. আতিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনের নানাদিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দর্শনে গ্রাম বাংলার সাথে তার ছিলো গভীর সংযোগ। কৃষককে তিনি গভীর ভালোবাসতেন। তিনি বলেন, কৃষিতে বর্তমান সরকারের ব্যাপক প্রণোদনা উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে এবং এতে তরুনরাও উৎসাহিত হচ্ছেন। সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান