বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেলেন ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

কৃষি খাতে সবোর্চ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এ বছর দেয়া হয়েছে ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে ২৬ জন এবং ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে ৫ জন স্বর্ণ, ৯ জন রৌপ্য এবং ১৮ জন ব্রোঞ্চ পদক পেয়েছেন। কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে নগরীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ পুরস্কার তুলে দেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ট্রাস্টের চেয়ারর্পাসন বেগম মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ্। তিনি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন যশোরের বেগম ফাতেমা ইয়াসমিন।
স্বর্ণ পদক বিজয়ীরা হলেন, মৎস্য অধিদফতর, আলহাজ মোহাম্মদ মকবুল হোসেন এমপি, নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রাখারি সরকার এবং মো. আমিনুল ইসলাম।

রৌপ্য বিজয়ীরা হলেন, গোল্ডেন বার্ণ কিংডম প্রাইভেট লি:, ড. খান মো. মনিরুজ্জামান, মোসাম্মৎ সুলতানা ইয়াসমিন, মো. সেলিম রেজা, বেগম সালেহা ইকবাল, শওকত হোসেন, মো. ইসরাফিল আলমএমপি, মো. নাজিম উদ্দিন হায়দার এবং বেগম লাভলী ইয়াসমিন।

ব্রোঞ্চ পদক বিজয়ীরা হলেন, মেসার্স ফাতেমা এন্টার প্রাইজ, মো. বকুল হোসেন, মো. আবদুল কাদের, মো. আমজাদ হোসেন, কৃষিবিদ শেখ মো. মুজাহিদ নোমানী, মো. শহিদুল ইসলাম খান, ময়েনপুর কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র, মো. নিজামউদ্দিন, বেগম ফাতেমা ইয়াসমিন, শিখা রাণী চক্রবর্তী, মো. বাবুল আক্তার, শেখ হুমায়ন কবির, মো. মাহফুজুর রহমান, মো. মেহেদি আহসানুল উল্লাহ্ চৌধুরী, সিঙ্গপাত মরো, বারিন্দ গালিজ কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি, শিতালিয়া সিআইজি সমবায় সমিতি লি:, সারওয়ার আলম মজুমদার বাবুল।

কৃষি গবেষণা এবং সম্প্রসারন,সমবায়িদের উদ্বৃদ্ধ করা, প্রযুক্তি আবিষ্কার, বাণিজ্যিক খামার বনায়ন এবং পশু সম্পদ ও মৎস্য খামার সম্প্রসারণে বিশেষ অবদার রাখার স্বীকৃতি হিসাবে তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য ১৯৭৩ সালে এই পুরস্কার চালু করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পর তৎকালীন সরকার এই পুরস্কার বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০০৯ প্রণয়নের পর এই পুরস্কার পুনরায় চলু করা হয়। এটিকে আরো গতিশীল করতে ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট ল’ প্রণয়ন করা হয়।

আরএম/