‘বঙ্গবন্ধু স্টক এক্সচেঞ্জ’ প্রতিষ্ঠাসহ ১৩ দাবি উত্থাপন

দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে আজ ৫ মার্চ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে স্বাক্ষাৎকরেছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতারা। সংগঠনটির সভাপতি এ.কে.এম মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন। এসময় বঙ্গবন্ধু স্টক এক্সচেঞ্জ নামে বিকল্প স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পুঁজিবাজার উন্নয়নে ১৩ দাবি উত্থাপন করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

দাবিগুলো হলো:
১। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনঃগঠন করে অত্যন্ত দক্ষ, সৎ ও প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন পুনঃগঠন করতে হবে।
২। যত্রতত্র বাজে কোম্পানীগুলোকে আইপিও অনুমোদন না দিয়ে ইউনিলিভার, নেসলের মত মাল্টি ন্যাশনাশ কোম্পানীগুলোকে আইপিও অনুমোদন দিতে হবে।
৩। ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করা শেয়ারগুলো নিজ নিজ কোম্পানীগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে ইস্যুমূল্যে শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে। বাইব্যাক আইন পাশ করতে হবে।
৪। ২ সিসি আইনের বাস্তবায়ন করতে যে সকল কোম্পানীর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে ২% সম্মিলিতভাবে ৩০% শেয়ার নেই, ঐ সকল উদ্যোক্তা পরিচালক কোম্পানীগুলোকে শেয়ার ধারন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৫। প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং প্রেসমেন্ট শেয়ারের লকইন পিরিয়ড ৫ বছর করতে হবে।
৬। খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী শেয়ার বাজার কারসাজির সাথে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭। লিষ্টেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে ও আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ অডিট রিপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। বঙ্গবন্ধু বর্ষে পুঁজিবাজার বিষয়ক সংস্থাগুলোকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
৯। পুঁজিবাজারের প্রাণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে সক্রিয় হতে বাধ্য করুন এবং প্রত্যেক ফান্ডের নূন্যতম ৮০% পুুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।
১০। সাধারণ বিনিয়োগকারীর আইপিও কোটা ৮০% করতে হবে এবং তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলোকে ১০% হারে লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে।
১১। জীবন বীমা খাতের বিপুল অলস ও সঞ্চিত অর্থের ৪০% পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করুন।
১২। জীবন বাঁচাতে এবং ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
১৩। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিপরীতে বঙ্গবন্ধু স্টক এক্সচেঞ্জ নামে বিকল্প স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এর ফলে কারসাজী বন্ধ করা যাবে। তথ্যসূত্র – শেয়ারবাজার নিউজ।

আজকের বাজার/এ.এ