উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরার অাঘাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার ৯টি ট্রলারের ১০৮ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। মোট ১৩৩ জন জেলের মধ্যে মাত্র ২৫ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে।
কয়েক দিন আগেই ট্রলারগুলো গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোরার অাঘাতে মঙ্গলবার রাত থেকে ওই ট্রলারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বাঁশখালী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর উপজেলা প্রশাসন।
বাঁশখালীর দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের নিখোঁজ জেলের সংখ্যা ৮ জন। কুতুবদিয়ার ৪টি ট্রলারের নিখোঁজ জেলের সংখ্যা ৩৮ জন। মহেশখালীর ৩টি ট্রলারের নিখোঁজ জেলের সংখ্যা ৬২ জন। মঙ্গলবার রাতে কুতুবদিয়ার ৪টি ট্রলারের ২৫ জন মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বুধবার বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. চাহেল তস্তুরী বলেন, বাঁশখালী থেকে চার দিন আগে দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার গভীরে সাগরে মাছ ধরতে যায়। সেখানে মোট আটজন মাঝি-মাল্লা ছিল। ঝড়ের পর এখনো তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কুতুবদিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী বলেন, কুতুবদিয়া অঞ্চল থেকে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া চারটি ট্রলার তীরে ফিরে আসেনি। সেগুলোতে মোট ৬৩ জন মাঝি-মাল্লা ছিল। তবে নিখোঁজ ৬৩ জনের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০ জনকে এবং একটি ফিশিং বোট ৫ জনকে উদ্ধার করে। ওই ২০ জনের মধ্যে ২ জন বাঁশখালীর। তবে এখন পর্যন্ত ওই নৌকাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
আর মহেশখালী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহির উদ্দিন বলেন, মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা গ্রামের জামাল নামের এক ব্যক্তি একটি ট্রলার ডুবে গেছে। ওই ওই ট্রলারে ২ জন মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন। আর মহেশখালীর আবুল নামে একজনের দুটি ট্রলার ডুবে গেছে। ওই ট্রলারের প্রায় ৬০ জন মাঝি-মাল্লার খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৩১ মে ২০১৭