জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) খোলসের পরিবর্তন ঘটছে। রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে বদলে যাওয়ার মধ্যে আছে সংস্থাটি। গণ শুনানির মাধ্যমে করদাতাদের আরও কাছে যাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাজেট বাস্তবায়নের দায়িত্ব সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার ১১ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া ভবনে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা পূর্বে আয়োজিত জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপনের ধারাবাহিকতায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ)সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব বক্তব্য উঠে আসে।
মতবিনিময় সভায় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা পূর্ব কমিশনার মো. জামাল হোসেন বলেন, মাথায় বাড়ি দিয়ে নয় মাথায় হাত দিয়ে কর আদায় করতে চাই। এনবিআরে খোলস পরিবর্তন করতে চাই। বদলে যাও, বদলে দাও-এ সংস্কৃতি চালু ও মানুষের মধ্যেস থেকে ভীতি দূর করতে চাই আমরা।
তিনি আরও বলেন, ইআরএফের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্টেকহোল্ডারসহ সবার সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমরা মতবিনিময়, প্রচার-প্রচারণা, উদ্ভাবন অব্যাহত রয়েছে।
ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহে ইআরএফকে মতবিনিময়ে আহ্বান জানানোর জন্য ঢাকা পূর্ব ভ্যাট কমিশনারেটকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে ভ্যাট আহরণ ও সেবা প্রদানে এ কমিশনারেটের উদ্ভাবনের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, সেবা দেওয়ার মাধ্যমে এনবিআর বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে এনবিআরের মাঠ পর্যায়ের সব অফিস। আর বদলে দেওয়ার প্রতীক বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান। বদলে দেওয়ার উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে পৌঁছেছে কী না- তা ভাবনার বিষয় ছিল। কিন্তু পূর্ব কমিশনারেটের উদ্যোগ আর উদ্ভাবন ভাবনার চেয়েও বেশি হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ শুধু এনবিআর নয় মাঠ অফিসে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, এনবিআরকে সহযোগিতা করা মানে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করা। দেশের মেগা প্রকল্প দেখেই বুঝা যাচ্ছে উন্নয়ন দৃশ্যমান। দেশের মানুষের মাঝে কর সচেতনতা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেন, কমিশনারেটে কাজের গতি আনা, ভ্যাট আহরণ বৃদ্ধি এবং সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নতুন উদ্ভাবন যেকোন ফাইল, কাগজের ওপর লেখা রয়েছে-আমাকে ফেলে রাখবেন না।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর এ কমিশনারেটের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ১০৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অক্টোবর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ৫১৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বিপরীতে ৫২৯ কোটি ৩৭ লাখ ও ১৩৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার উৎসে কর আহরণ হয়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত এ কমিশনারেটের প্রবৃদ্ধি ৩২ শতাংশ। আর বিদায়ী অর্থবছর এ কমিশনারেট ১ হাজার ৫১৭ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা আহরণ করেছে।
আজকের বাজার : এসএস/এলকে ১১ ডিসেম্বর ২০১৭