‘বল টেম্পারিং দলীয় সিদ্ধান্তে’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান কেপটাউন টেস্টে দলীয় সিদ্ধান্তে বল টেম্পারিং করার কথা স্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ভিডিও ফুটেজে বল টেম্পারিং করার দৃশ্য ধরা পড়ার পর তারা অনুতপ্ত বলেও জানান তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত টেস্টের তৃতীয় দিনে। শনিবার (২৪মার্চ ) তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা চলাকালীন দুইটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। যার একটিতে দেখা যায় ক্যামেরুণ পকেট থেকে হলুদ জাতীয় কিছু একটি বের করে বলের সঙ্গে তা ঘষে আবার পকেটে রেখে দিচ্ছেন।

এরপর অন্য ভিডিও ফুটেছে দেখা যায় তার প্যান্টের সামনের অংশের দৃশ্য। প্যান্টে ফিতা বাঁধার নাম করে পকেট থেকে সেই হলুদ বস্তুটি প্যান্টের ভেতর ঠুকিয়ে নিচ্ছেন।

এমন ঘটনার পর দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ার নাইজেল লং ও রিচার্ড ইলিংওর্থের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের পকেট থেকে কালো রঙের রুমাল বের করে কিছু একটা বলছিলেন ক্যামেরুণ বেনক্রাফট। এ সময় তার পাশে ছিলেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও।

সাধারণত ক্রিকেট বলের নির্দিষ্ট আকার ইচ্ছে করে বদলানো বেআইনি। উইকেট থেকে সুইং আদায় করতে এরকম আকার বদলের চেষ্টা করে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা শাস্তিও পেয়েছেন। কিন্তু এবার যেন অস্ট্রেলিয়া ছাড়িয়ে গেল সব কিছুকেই। দলীয় সিদ্ধান্তে বলের প্রকৃতি পালটে দেওয়ার চেষ্টা করা এবং সংবাদ সম্মেলনে সেটা স্বীকারের ঘটনাও একরকম নজিরবহীন।

কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে স্মিথ বলেছেন, ‘দলের নেতৃত্ব গ্রুপ এটা সম্পর্কে জানত, আমরা লাঞ্চের সময় এই নিয়ে কথা বলেছি। যা হয়েছে তা নিয়ে অবশ্যই আমি গর্বিত না। এটা খেলার স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।’

নিচু স্বরে, বিষণ্ণ কন্ঠে স্মিথ বলেন, ‘আমার বিশ্বাসযোগ্যতা, আমাদের দলের বিশ্বাসযোগ্যতা, নেতৃত্ব দেওয়া গ্রুপের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আগামীতে অবশ্যই এরকমটি আর হবে না। আমি ওয়াদা করছি।’

কার মাথা থেকে এই বুদ্ধি তা প্রকাশ না করলেও বারবার নিজেদের কাণ্ডে অনুতপ্ত হওয়ার কথা জানান অস্টেলিয়ান অধিনায়ক। তিনি বলেন,‘আমি নাম বলতে চাই না। আমরা আলাপ করছিলাম এটা করে একটু সুবিধা নেওয়া যায় কিনা। অবশ্যই এটা কাজ করেনি। বদলের পর কোন বাড়তি সুবিধা মেলেনি। এটা একটা বাজে সিদ্ধান্ত ছিল এবং এরজন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত।’

এর আগে বেনক্রাফট বল টেম্পারিং করার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটা চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আসলে কাজ হয়নি।’

একটা ফুটেজে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ান কোচ ড্যারেন লেম্যান ও বদলি খেলোয়াড় পিটার হ্যান্ডসকম্ব কথা বলছেন, পরে বেনক্রফটের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেন হ্যান্ডসকম্ব। যদিও স্মিথের কথা এতে জড়িত ছিলেন না কোচ।

তিনি বলেন, ‘না এতে কোচ জড়িত নন। এটা একদম বাজেভাবে করেছে প্লেয়াররা ও লিডারশিপ গ্রুপ।’তবে সেই লিডারশীপ গ্রুপে কারা কারা আছেন নাম বলেননি স্মিথ।

এস/