পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৭২ টাকা দরে পেতে পারে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার। বুক বিল্ডিং আইন অনুযায়ী এ দরে শেয়ার পেতে পারেন তারা। তবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা কোম্পানিটির শেয়ারের চুড়ান্ত দর পেতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, ৮০ টাকা দরে কাট-অফ প্রাইজ নির্ধারণ হয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের। আইন অনুযায়ী এই দর থেকে ১০ শতাংশ কমে শেয়ার পাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ হিসেবে ৭২ টাকা দরে তারা শেয়ার কিনতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর বিকাল ৫টা থেকে ১৯ অক্টোবর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৪ দিন বসুন্ধরার পেপারের বিডিং হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এসময়ে মোট ৪৭৪ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী বিডিংয়ে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৯৬ জনই ৮০ টাকার উপরে বিডিং করেছে। ৯৬ জন বিনিয়োগকারী ২২০ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে।
জানা যায়, গত ৪ দিনে ৪৭৪ যোগ্য বিনিয়োগকারী বিভিন্ন দামে শেয়ার কেনার জন্য মোট ৯৯৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তবে কোম্পানিটি এই পদ্ধতি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১২৫ কোটি টাকা নেবে। এদিকে যারা ৮০ টাকার নিচে বিডিংয়ে অংশ নিয়েছিল তারা ওই দরে শেয়ার পাবে না। তবে তাদের জন্য আরও একটি সুযোগ আছে। যদি ৮০ টাকা দরে শেয়ার নিতে আগ্রহী হয়, তাহলে আগামী রোববার এবং সোমবার দুই দিন তারা কাট-অফ প্রাইজে আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নিলামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রিযোগ্য শেয়ারের জন্য প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দর থেকে নিচের দিকে যে দরে এসে নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ার বিক্রি শেষ হয়, সেটিই হচ্ছে শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস।
সূত্র মতে, বিডিংয়ের প্রথম দিন সোমবার ১৩ যোগ্য বিনিয়োগকারী অংশ নিয়েছে। মঙ্গলবার অংশ নেয় ৩৩ যোগ্য বিনিয়োগকারী বিডিংয়ে। বুধবার অংশ নিয়েছে আরও ১১৩টি যোগ্য বিনিয়োগকারী। শেষ দিন বৃহস্পতিবার আরও ৩১৫ জন বিডিংয়ে অংশ নেয়। সব মিলিয়ে ৪ দিনে মোট ৪৭৪টি প্রতিষ্ঠান ৯৯৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার কেনার প্রস্তাব করেছে।
বসুন্ধরা উত্তোলিত অর্থ দিয়ে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনা, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচে ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভসহ) হয়েছে ৩০ টাকা ৪৯ পয়সা। রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ ছাড়া হয়েছে ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা। একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ওয়েটেড এভারেজ) হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হলো ১৪৭ কোটি টাকা। কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে। এরপরে ২০১১ সাল থেকে ২১টি দেশে পণ্য রপ্তানি করে আসছে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২১ অক্টোবর ২০১৭