বহুমুখী শিক্ষার প্রসারে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান। বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
এ সময় পরীক্ষায় ছাত্রদের পাশের হার যাতে মেয়েদের সমান হয় সেজন্য ছেলেদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলাফল গ্রহণের পরে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মত বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অকৃতকার্যদের হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। বরং তাদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে যেন পরেরবারে পড়াশোনা করে ভালো ফল পেতে পারে। অভিভাবকদেরও তাকে বকাঝকা করার দরকার নেই। বরং তাদের আরো বেশি সমর্থন দিতে হবে যেন ভবিষ্যতে তারা এসব কাটিয়ে নিজেরা ভালো কিছু করতে পারে।
এ বছর মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন।
জানা গেছে, সারা দেশে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা গত বছরের চেয়ে ৩ শতাংশ কম। ২০১৭ সালে ১০ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫। এবার মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ চার হাজার ৭৬১ জন। এবার পাঁচ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ বেশি বেড়েছে।
এরপর দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুর ২টার পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে।
গত ১ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ও দেশের বাইরে কয়েকটি কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত চলে।
এ বছর ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র। ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
এস/