বাঁধের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘বাঁধের পাশাপাশি নদীর তীরে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই। গাছ না থাকলে নদীর তীর, ঘরবাড়ি রক্ষা করা যায় না। অজুহাত না দিয়ে এলাকাতে গাছ লাগান। গাছের বিকল্প নেই।’
আজ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া কোলা এলাকায় সুপার সাইক্লোন আম্পানে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে তিনি নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ করার এই নির্দেশনা দেন।
জাহিদ ফারুক আরো বলেন, ‘আম্ফানে দেখেছি যেখানে গাছ আছে সেখানে ভাঙ্গন কম হয়। শুধু বাঁধ বাঁধলেই হবে না, বাঁধ সুরক্ষায় গাছ লাগাতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আরো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস বেড়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় বাঁধ ৪ মিটার থেকে ৬/৭ মিটারে উন্নীত করা হবে। তবে নদীভাঙ্গন রক্ষায় নদীতীরের গাছের বিকল্প নেই। বৃক্ষরোপণে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার-জনগণ মিলে কাজ করলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।’
এর আগে প্রতিমন্ত্রী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দুর্গবাটী, কামালকাটি, বিড়ালাক্ষী এবং আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ের হাজরাখালি, ঘোলা ত্রিমোহিনী ও হিজলিয়া-কোলা, প্রতাপনগরের হরিষখালী এলাকার বাঁধ মেরামত কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ডঃ মোঃ মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন বলেই করোনাকালে দু’হাত ভরে প্রণোদনা দিয়েছেন। কর্মহীন কেউ যাতে অনাহারে না থাকে তার নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এদেশের মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছে। মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে প্রধানমন্ত্রী একের পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিচ্ছেন।’