ভারত থেকে গরু চোরাচালান বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছে। সামান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফকে দ্রুত এ চোরাচালান থামানোর বন্দোবস্ত করার অনুরোধ করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি।
১৫ জূলাই শনিবার দুই পক্ষের এক বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। বিজিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেন, আসলে এটা (গবাদি পশুর চোরাচালান) আমাদের অর্থনীতির ক্ষতি করছে। গবাদিপশু যদি ভারত থেকে না আসতে পারে তাহলে আমাদের কৃষকরা স্বাবলম্বী হবেন এবং আমরা নিজেদের দেখাশোনা করতে পারবো।
তিনি বলেন, চোরাচালান ঠেকানোর জন্য আমরা বিএসএফকে অনুরোধ জানিয়েছি। এর মাধ্যমে আরও অন্যান্য অনেক বিষয়ের সমাধান হতে পারে।
ভারতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিজিবি শীর্ষ এই কর্মকর্তা। এই সম্মেলনের আলোচ্যসূচির অন্যতম হচ্ছে গরু চোরাচালান ইস্যু।
গবাদিপশু নিজে সীমান্ত পার হতে পারে না উল্লেখ করে জাহিদ হাসান বলেন, এ ধরনের চোরাচালান বন্ধে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। কারণ, এসব গবাদিপশু আসে ভারতের অনেক ভেতর থেকে এবং ভারতের পশ্চিম থেকে। বিজিবির আঞ্চলিক এই কমান্ডার বিএসএফের মেঘালয় ইউনিটের আইজি পি কে দুবে ও রাজ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক এস বি সিংহ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি গবাদিপশু চোরাচালান ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশিদের ওপর সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানোর বিষয়টিও তুলে ধরেন বিজিবির ওই কর্মকর্তা। আমাদের উদ্বেগের কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু ঘটনা পরিষ্কারভাবে আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে একমত হয়েছি। আশা করছি সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা শূন্যতে নামিয়ে আনতে সক্ষম হবো।
বিজিবি-বিএসএফ’র এই সম্মেলনে বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে সিলেটে বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১৬ জুলাই ২০১৭