বাংলাদেশের জলসীমায় সোয়া লাখ একর ভূমি জেগে উঠেছে

বাংলাদেশের জলসীমায় গত ১০ বছরে ২৬টি দ্বীপে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৭০ একর ভূমি জেগে উঠেছে। ১৩ নভেম্বর সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।

তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে বঙ্গোপসাগর তথা নোয়াখালী জেলার জলসীমায় ৫টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। দ্বীপগুলো হলো- হাতিয়ার ভাষান চর, স্বর্ণদ্বীপ, চরকবির, চর বন্দনা এবং সুবর্ণচরের রজনীগন্ধা। এসব চরে ৭৫ হাজার ৮৭৪ একর জমি জেগে উঠেছে।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম জেলাধীন সন্দ্বীপ উপজেলায় ২টি দ্বীপ জেগে উঠেছে- ঠেঙ্গারচর ও জাহাজ্জ্যোর চর। এতে আনুমানিক ১৮ হাজার ৯১২ দশমিক ৯০ একর জমি জেগে উঠেছে। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলার জলসীমায় ১৯টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। এসব চরে মোট ৩০ হাজার ৫৮৩ একর খাস জমি রয়েছে। এগুলো হলো- কক্সবাজারের বাঁকখালী খরাট চর, উখিয়ার জালিয়াপালং চরপাড়া, টেকনাফের জিনজিরাদ্বীপ, মধ্যহ্নীলা, উত্তর হ্নীলা, শাহপরার দ্বীপ। মহেশখালীর মাতারবাড়ি মৌজা, ধলঘাটা, হাঁসের চর, কালারমারছড়া, উত্তরনলবিলা, আমাবশ্যাখালী, কুতুবজোম, সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গা, সোনারদিয়ার উত্তরে ঘাটিভাঙা মৌজা এবং হামিদরদিয়া। কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ এবং নতুন ঘোনা। পেকুয়ায় করিয়ারদিয়া ও দুবাইঘোনা।

তিনি জানান, দ্বীপগুলো এখনো জনশূন্য এবং এগুলো সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে বসবাসের জন্য এসব দ্বীপে সেনাবাহিনী জরিপ করছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৪ নভেম্বর ২০১৭