বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিকল্পনা বিনিময়

বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে আশ্বাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের ডিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি বলেন, ‘বাংলাদেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য আমরা সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। বাংলাদেশের জন্য আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবো।’

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক ব্রিফিং অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের পক্ষে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের জন্য কূটনীতিক, হাই কমিশনারদের কাছে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন আবদুল মোমেন।

রাষ্ট্রদূত কোচেরি বলেন, ‘আমাদের একে অপরের সম্পর্কে জানতে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গা ইস্যু ও অর্থনৈতিক কূটনীতিসহ তার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পরিকল্পনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। কিভাবে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করতে পারেন সে সম্পর্কেও ব্রিফ করেছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের ডিন বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুটি বর্তমানে বাংলাদেশের ‘গুরুতর’ সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি এ বিষয়টি উঠে এসেছে।

জাতীয় নির্বাচনে সাফল্য লাভ করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের ডিন কোচেরি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানান আবদুল মোমেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গঠনমূলক ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, যাতে তারা নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরে যেতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, সকল বিদেশি মিশনের কনসাল জেনারেল এবং ঢাকা ভিত্তিক জাতিসংঘ কার্যালয়ের প্রতিনিধিসহ কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের ৫৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হলো। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ