বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

কৌশলগত অবস্থানের কারণে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বৈশ্বিক আউটসোর্সিংয়ের উদীয়মান কেন্দ্রে পরিণত হতে যাওয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমি পারস্পরিক সুবিধার জন্য আপনাদের ব্যবসা, প্রযুক্তি ও নতুনত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানাই। আমাদের অভিন্ন সুফল ও সমৃদ্ধির যাত্রায় যোগ দিন। আমি আপনাদের আমার সরকারের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।’

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী সোমবার মার্কিন চেম্বার অব কমার্সের সাথে এক মধ্যাহ্নভোজ সভায় দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান করা হোটেল গ্রান্ড হায়াতে মার্কিন চেম্বার অব কমার্স এ সভার আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমারা ভারতীয়, চীনা ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ান প্রতিবেশীদের সংযুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ নিজের ১৬ কোটি জনসংখ্যার শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধমান বাজারের পাশাপাশি ৪০০ কোটি মানুষের বাজারের প্রবেশদ্বার হতে পারে।’

বাংলাদেশ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দুই অংকের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য অবকাঠামো, যোগাযোগ ও হাইটেকের বৈচিত্রপূর্ণ খাতে আরো উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত। আমি থ্রাস্ট সেক্টরে উদীয়মান সেবা খাত ব্যাংকিং, পর্যটন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে যোগ করেছি।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা সমুদ্র অর্থনীতির নতুন এলাকাও উন্মুক্ত করতে চাই। আমরা সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে নতুন শিল্প ও বিনিয়োগের জন্য ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। দুই ডজন হাইটেক পার্ক প্রস্তুত আছে।’

বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি, আকর্ষণীয় প্রণোদনা এবং সর্বোচ্চ মুনাফার হার রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া এখানে বিনিয়োগকারীদের জন্য তরুণ, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সহজে প্রশিক্ষিত করার মতো কর্মীবাহিনী, অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মজুরি, ব্যবসা স্থাপনের স্বল্প ব্যয়, শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত বিশাল বাজারে প্রবেশ, সস্তায় বিদ্যুৎ ও পানি পাওয়া, বাংলাদেশের ভালো ক্রেডিট রেটিং, সর্বনিম্ন ঝুঁকি ও দ্রুত প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নেয়ার মতো সুবিধাগুলো তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও দরিদ্রতা হ্রাসের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন। সেই সাথে সবজি, চাল ও মাছ উৎপাদন এবং তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থানের তথ্য উপস্থাপন করেন তিনি। ওষুধ, জাহাজ ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সাফল্যও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্থান পায়। তথ্য-ইউএনবি।

আজকের বাজার/এমএইচ