বাংলাদেশে বিমানে যোগ হচ্ছে ৩ উড়োজাহাজ

বাংলাদেশে বিমানের বহরে যোগ হচ্ছে আরও ৩টি টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজ। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডা থেকে কেনা হবে। বিভিন্ন রুটের চাহিদা মাথায় রেখে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নতুন বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বুধবার ২০ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এসময় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমানবহরে উড়োজাহাজের স্বল্পতার কারণে একে একে অনেক রুট হারাতে হয়েছে। অবস্থা উত্তরণে ৭০ থেকে ৮০ আসন বিশিষ্ট তিনটি টার্বোপ্রপ (ড্যাশ৮-কিউ৪০০এনজি) উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কানাডা সরকারের ঋণ সহায়তার মাধ্যমে একমাত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কানাডার ‘বম্বারডিয়ের ইঙ্ক’ এই উড়োজাহাজ সরবরাহ করবে।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে (জি টু জি) সরাসরি ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই উড়োজাহাজ তিনটি কেনা হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান ‘কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কো-অপারেশন’ (সিসিসি) এর সঙ্গে চুক্তি করবে। পাশাপাশি উড়োজাহাজ কিনতে কানাডা সরকারের প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কানাডা’ (ইডিসি) থেকে বাংলাদেশ বিমানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জানা যায়, বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাংলাদেশ বিমানের বহরে মোট ১৩টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি বিমানের নিজস্ব, অপর সাতটি ভাড়ায় সংগৃহীত। বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজের মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০। ভাড়ায় সংগৃহীত উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে একটি উড়োজাহাজ অভ্যন্তরীণ রুটে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, সৈয়দপুর, যশোর, বরিশাল ও কক্সবাজার) এবং একটি উড়োজাহাজ আন্তর্জাতিক রুটে (ঢাকা, কলকাতা, কাঠমান্ডু, ইয়াংগুন) ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ ছাড়া আগামী জানুয়ারি ও মার্চে রি-ডেলিভারির জন্য দুটি উড়োজাহাজ বিমান বহর থেকে অপসারণ করা হবে এবং আগামী ২০২২ সালের শুরুতে আরও চারটি উড়োজাহাজ ফেরত দেওয়া হবে। সার্বিক এ বিষয়গুলো বিবেচনায় বাংলাদেশ বিমানের জন্য তিনটি উড়োজাহাজ কেনা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

আজকের বাজার: এলকে/ ২০ ডিসেম্বর ২০১৭