স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে নিজ দলের গোলাপী বলে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে চতুর্দিকের এমন চরম উদ্দীপনার সঙ্গে অভ্যস্থ নন বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হক। যে কারণে মাঠের বাইরে কি ঘটছে সে দিকে না তাকিয়ে নিজেদের খেলার বিষয়েই মনোযোগী হতে চান টাইগার দলপতি।
গোলাপী বলে দিবা-রাত্রির প্রথম এই টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে যা কিছু করনীয় তার সব কিছুই করছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই’র সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। এটি কলকাতার দর্শকের মধ্যে এতটাই আবেগ সৃষ্টি করেছেন যে ম্যাচের প্রথম তিনদিনের সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। গোটা শহর জুড়েই বিরাজ করছে স্মরণীয় এই ম্যাচের বাড়তি উল্লাস ও উত্তেজনা। ইতোমধ্যে কলকাতা শহরটি ‘সিটি অব জয়ে’ পরিণত হয়েছে।
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় শুরু হবে ঐতিহাসিক এই টেস্ট। টসের ঠিক আগমুহূর্তে দুই দলের অধিনায়কের জন্য গোলাপী বল নিয়ে ইডেন গার্ডেনে অবতরণ করবে ভারতীয় আর্মির প্যারাট্রুপাররা। এরপর ঘন্টা বাজিয়ে ম্যাচের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (ক্যাব) ২০০০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে অংশগ্রহনকারী ক্রিকেট দলের সদস্যদের জানানো হবে বিশেষ সম্মান। বাংলাদেশ দলের অভিষেক টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটেছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর। আগামীকাল মাঠে উপস্থিত থাকবেন ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার শচিন টেঙ্গুলকারের মত ক্রিকেট তারকারা।
ম্যাচটির উন্মাদনা ছুয়ে গেছে স্থানীয় মানুষের মধ্যেও। কলকাতা নগরী পরিণত হয়েছে ‘উৎসবের নগরীতে’। বিভিন্ন স্থান ভরে গেছে গোলাপী রঙের আভায়। গোলাপী রঙে থ্রিডি ম্যাপিং করা হয়েছে ২২তলা বিশিষ্ট টাটা ভবন ও ৪২ তলা বিশিষ্ট শহরের সুউচ্চ ভবনও।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন,‘ আমি মনে করিনা এসব উচ্ছাস আমাদের আক্রান্ত করবে। কারণ পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আপনি এসব বিষয়ে দিকে মনোযোগী হতে পারেন না। আপনাকে নিজের কাজেই বেশী মনোযোগ দিতে হবে। আমার কথা হচ্ছে মাঠের বাইরের পরিবেশকে আনন্দদায়ক করার জন্য যা কিছু করার তা করবে আয়োজকরাই। আর আমার মনোযোগ দিতে হবে নিজের ক্রিকেটের প্রতি।
সুতরাং পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমি মনে করিনা বাহ্যিক বিষয়গুলো আমাদের ক্রিকেট থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারবে।’
মোমিনুল বলেন, তারা প্রথমবারের মত দিবা-রাত্রির ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছে। সেটি নিয়ে কিছুটা রোমাঞ্চকর অনূভুতি থাকবে। তবে সেটি দিয়ে খেলাটিকে বাঁধাগ্রস্ত করা যাবেনা। টাইগার দলপতি বলেন,‘ দিন শেষে আপনাকে ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। সেখানে বল বা অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।
তবে হ্যাঁ, গোলাপী বলের সঙ্গে আমরা কিভাবে খাপ খাওয়াবো, সেটি নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা কাজ করতেই পারে।’ তথ্য:বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান