বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল সেই কৃতিত্বের অংশীদার এদেশের যুবসমাজ : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যে এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল সেই কৃতিত্বের অংশীদার এদেশের যুবসমাজ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। এই কৃতিত্বের অংশীদার এদেশের যুবসমাজ। প্রতিদিন তাদের নানা রকম উদ্ভাবন, দেশের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা, এসব কিছু মিলিয়েই বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের পথে হাঁটছে।’
প্রধানমন্ত্রী  আগামীকাল ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী  দেশের যুবসমাজ, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল উদ্যমী তরুণকে এবং বিজয়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছো ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৫ কোটি ৩০ লক্ষ তরুণের দেশ বাংলাদেশ। এই তারুণ্য এবং তাদের এই উদ্যম আর চেতনা আমাদের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের শক্তি যুগিয়েছে। আমি চাইবো প্রতিটি তরুণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হোক একটাই, এগিয়ে যেতে হবে দেশের জন্য; মানুষের সেবায় এবং জাতির কল্যাণে। আমরা বিশ্বাস করি, অতীতের গৌরবোজ্জ্বল সমৃদ্ধ ইতিহাসের উত্তরাধিকার হিসেবে আমাদের যুবসমাজ ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ  সোনার বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মহান স্বাধীনতার পর জাতীয় উন্নয়নে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে যুব কল্যাণমূলক বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তিনি ১০টি যুব হোস্টেল ও যুব কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে জাতির পিতা পদাঙ্ক অনুসরণ করে যুবসমাজের উন্নয়ন, তরুণদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ও দেশের উন্নয়নে যুবসমাজকে সংযুক্ত করে তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে আমাদের সরকার যুবকদের উৎপাদনশীল কর্মকান্ডে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে, বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার যুবককে অস্থায়ী কর্মসংস্থান করা হয়েছে । যুব কর্মসংস্থানের জন্য প্রায় ৫ লক্ষ প্রশিক্ষিত যুবককে ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা যুব ঋণ দেওয়া হয়েছে। যুব কল্যাণ তহবিলের মাধ্যমে ৭ হাজার ৯১৪ যুব সংগঠনকে ১৮ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার জাতীয় যুব কাউন্সিল গঠন করেছে; যুব উদ্যোক্তা নীতি এবং যুব প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সংগতি রেখে যুব প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যুব কমসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়নে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় যুব পুরস্কার নীতিমালার আওতায় সারাদেশে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।