ভাড়া নির্ধারণ না করে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাস চলাচলের, পাঁচটি রুটে দুই বছরের জন্য, বাস অপারেটর নিয়োগের টেন্ডার প্রক্রিয়ার ওপর দেয়া, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার ১৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে, বিচারক মো. রেজা-উল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এই আদেশের ফলে, ওই পাঁচ রুটে বিআরটিসির টেন্ডার কার্যক্রম চালাতে আর বাধা থাকল না। এমন তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রুট পাঁচটি হলো- ঢাকা-খুলনা-কলকাতা-ঢাকা, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা-আগরতলা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট-শিলং-গুয়াহাটি।
এই পাঁচ রুটে বাস অপারেটর নিয়োগের জন্য, গত ৪ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ভাড়া নির্ধারণ না করে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি চলমান ভাড়া নৈরাজ্যকে আরো উসকে দেবে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে, যাত্রীকল্যাণ সমিতি এ বছরের ১৩ জুলাই, সরকারকে দুই দেশের প্রটোকল অনুযায়ী, ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারির আবেদন জানায়।
কিন্তু সরকারের কাছ থেকে কোনো ‘সদুত্তর না পেয়ে’ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন, যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ জুলাই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ভাড়া নির্ধারণ না করে দুই বছরের জন্য বাস অপারেটর নিয়োগে দেওয়ার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। একই সঙ্গে টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর টেন্ডার কার্যক্রমে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে রুল ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
আদালতে বিআরটিসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
পরে মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। স্থিতাবস্থা তুলে নিয়েছেন। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বাধা নেই।
আজকের বাজার : এনএল/ডিএইচ/ এলকে ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭