বাংলাদেশ সফরে আসছেন মোদি

২০১৮ সালের প্রথমার্ধেই বাংলাদেশ ও ভুটান সফরের পরিকল্পনা করছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকার সরকারের প্রতি সমর্থন জানাতেই তার এই সফর বলে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম ইকনোমিক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুটানেও চলতি বছর নির্বাচন। সেখানেও একই উদ্দেশ্যে সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে ভারতের সহায়তায় ভুটানে একটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ হতে যাচ্ছে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বছরে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে দিল্লির সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করতে চায়।

ভুটানের সঙ্গে চীনের সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা ও বিআরআই প্রকল্পে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে দেশটির প্রচেষ্টার মধ্যেই এই সফর করতে যাচ্ছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তবে মোদির সফরের তারিখ এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। এছাড়া তার সফরসঙ্গী হিসেবে কারা আসবেন- তাও নির্ধারিত হয়নি।

শুধু ভুটান ও বাংলাদেশই নয়; নেপালেও সফর করবেন তিনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলিকে ভারত সফরেরও আমন্ত্রণ জানাবেন। ডোকলাম ঘটনার পর ভুটানে চীনের প্রভাব দৃশ্যমান হয়। ওই ঘটনার পর দেশটির প্রতিও ঝুঁকেছে চীনা প্রশাসন। বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভুটানের জাতীয় নির্বাচনে চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেবে।

বর্তমানে পাঁচদিনের ভারত সফরে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ। ধারণা করা হচ্ছে, তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে মোদিকে কিছু ইঙ্গিত দিতে পারেন তিনি। আর এজন্যই মোদির বাংলাদেশ সফরটি গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে ভুটান সফর করেছেন মোদি। এছাড়া ২০১৫ সালে ঢাকা সফর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হাসিনা সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্কও খুব দক্ষতার সঙ্গে ধরে রেখেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চীনা কোম্পানিগুলো। এছাড়া ২৩ বিলিয়র ডলার ব্যয়ে দেশটির বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ।

আজকেরবাজার/এসকে