বাচ্চুকে একসপ্তাহের সময় দিয়েছে দুদক

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে দুদক। তিনি দু’মাসের সময় চেয়ে আবেদন করলে তাকে সাতদিনের সময় দিয়ে আগামী ১৫ মে ফের তলব করা হয়েছে।

আজ (৭ মে) সোমবার আব্দুল হাই বাচ্চুকে পঞ্চম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে দু’মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাকে সাতদিনের সময় দিয়েছে। পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ১৫ মে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব ভট্টাচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।

বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণ আসার পর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয় দুদক। এর আগে, ব্যাংকটির সাবেক ১০ পরিচালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

প্রসঙ্গত, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী ও ৮১ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ ১২৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছেন দুদকের ১০ কর্মকর্তা। তবে কোনো মামলাতেই আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদ, ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সর্বশেষ আদালত পর্যন্ত সমালোচনা করেন।

অনিয়মের মাধ্যমে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীর গুলশান শাখায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, শান্তিনগর শাখায় ৩৮৭ কোটি টাকা, প্রধান শাখায় প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা ও দিলকুশা শাখায় ১৩০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এছাড়া অভিযোগের বাকি অংশের অনুসন্ধান দুদকে চলমান।

২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে মোট সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের অভিযোগ ওঠার পর এই ব্যাংক নিয়ে তদন্তে নামে দুদক।

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বাচ্চুকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়নও হয়। কিন্তু ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করার পর পদত্যাগ করেন তিনি।

আজকের বাজার/ এমএইচ