বাজারে সর্বাধুনিক ফিচার ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর নিয়ে এলো সিঙ্গার

বাংলাদেশি ক্রেতাদের চাহিদা ও ব্যবহারবিধির কথা বিবেচনা করে শীর্ষস্থানীয় কনজ্যুমার ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিঙ্গার বাংলাদেশ দেশের বাজারে নতুন সিরিজের রেফ্রিজারেটর নিয়ে এসেছে। এ সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো দীর্ঘসময় ধরে ফলমূল ও শাক-সবজি সতেজ রাখার পাশাপাশি ভিটামিনও অটুট রাখবে।

ইউরোপিয়ান ডিজাইন ও প্রযুক্তির এ রেফ্রিজারেটরগুলো আধুনিক বাসা-বাড়ির জন্য বেশ উপযোগী; একইসঙ্গে এর উদ্ভাবনী “ফ্রেশ-ও-লজি” ও “নিউট্রিলক” ফিচার মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে আরো সহজ ও উন্নত করবে। এ ধরনের উদ্ভাবনী ফিচারসমৃদ্ধ রেফ্রিজারেটরগুলো প্রথমবারের মতো দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে সিঙ্গার।

গতকাল (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন সিরিজের এ রেফ্রিজারেটরগুলো উন্মোচন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিঙ্গার বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও জনাব এমএইচএম ফাইরোজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ডিরেক্টর চন্দনা সামারাসিংহে, সেলস ডিরেক্টর কাজী রফিকুল ইসলাম, ডিরেক্টর- টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন হাকান আলতিনিসিক, জেনারেল ম্যানেজার কর্পোরেট সেলস আসগার হোসেন, সিনিয়র ম্যানেজার প্রোডাক্ট ফারহান আজহার সহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কমকর্তাবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

রেফ্রিজারেটরগুলো উন্মোচন উপলক্ষে জনাব ফাইরোজ বলেন, “দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনী ও নতুন প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটরগুলো নিয়ে আসতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। এ রেফ্রিজারেটরগুলোতে শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পেরে আমরা আনন্দিত। উদ্ভাবনী হোম অ্যাপ্লায়েন্স সল্যুশনের মাধ্যমে ক্রেতাদের জীবনধারার অংশীদার হতে সচেষ্ট রয়েছে সিঙ্গার।”

বিশেষ ফিচার ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সিঙ্গারের নতুন সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি করা হয়েছে; এগুলো আন্তর্জাতিক গুণগতমান নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারটেক (ইউকে) কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। সিঙ্গার ফ্রেশ-ও-লজি হলো একটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, যা সবজি ও ফলমুল ২০ দিন পর্যন্ত সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এটি ক্রিস্পার বক্সে বাতাসের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তাই, ব্যবহারকারীদের ঘন ঘন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ঝামেলা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

সিঙ্গারের এই নতুন রেফ্রিজারেটরগুলোতে রয়েছে নিউট্রিলক প্রযুক্তি যা ২৪ ঘণ্টা সূর্য চক্রকে অনুসরণ করে ক্রিসপার বক্সে ফল এবং শাকসবজিতে ভিটামিন (যেমন ভিটামিন এ এবং সি) সংরক্ষণ করে। সূর্য দিনের বেলায় সময়ভেদে নীল, সবুজ এবং লাল আলো নির্গত করে। নিউট্রিলক প্রযুক্তি দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিটামিনের সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এই প্রাকৃতিক আলোর চক্রকে অনুসরণ করে।
সিঙ্গারের নতুন রেফ্রিজারেটরগুলোর বেস স্ট্যান্ডে একটি ড্রয়ার রয়েছে, যাতে রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো জিনিস যেমন পেঁয়াজ, আলু, রসুন এবং আদা রাখা যাবে, যা ব্যবহারকারীদের খুব সহজেই রেফ্রিজারেটরে শুকনো পণ্যসামগ্রী সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

এ নিয়ে সিঙ্গার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর চন্দনা সামারাসিংহে বলেন, “সিঙ্গারের নতুন সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো রেফ্রিজারেটরের বাজারে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। আমাদের বিশ্বাস, এর মাধ্যমে আমাদের ক্রেতারা বিশ্বের উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা লাভ করবে এবং এ রেফ্রিজারেটরগুলো তাদের জীবনধারার অংশীদার হয়ে উঠবে।”

এ উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলো সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক লাইসেন্সকৃত ট্রেডমার্ক। এছাড়াও সিঙ্গারের নতুন সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলোতে অন্যান্য উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এ রেফ্রিজারেটরগুলো ১৩৫ ভোল্টের মতো কম ভোল্টেও চলবে; তাই, কম ভোল্টেজ বা ভোল্টেজের ওঠানামা ব্যবহারকারীদের কোন সমস্যায় ফেলবে না। এই রেফ্রিজারেটরগুলোতে অতিরিক্ত ভোল্টেজ স্টেবিলাইজারেরও প্রয়োজন হয় না।

রেফ্রিজারেটরের কম্পার্টমেন্টের ভেতরে গন্ধের মিশ্রণ রোধ করার জন্য, সিঙ্গার আউটড্াের ফিল্টার হিসেবে একটি কাঠকয়লা প্রদান করছে। রেফ্রিজারেটরগুলো একটি অনন্য এবং মজবুত বোতল হোল্ডার দিয়ে সজ্জিত, যা ফ্রিজের দরজার উপর চাপ এড়াতে তাকের উপরে রাখা যেতে পারে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গ্যাসকেট রেফ্রিজারেটরে ব্যাকটেরিয়া গঠনে বাধা দেবে এবং আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

পরিবর্তনশীল জীবনধারায় আমাদের সহজ সল্যুশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেতারা তাৎক্ষণিকভাবে এ সল্যুশনগুলো খোঁজেন। তাই, এ সময়ে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে সিঙ্গার কাজ করছে।