সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। মাত্র ১৩ কার্যদিবসের ব্যবধানে এক হাজার ৯১ কোটি থেকে ৪৩২ কোটি টাকায় নেমে এসেছে লেনদেন। এ সময়ে লেনদেন কমেছে ৬৫৯ কোটি টাকা। লেনদেন নামতে নামতে তলানিতে এসে ঠেকেছে।
বাজার বিশ্লেষনে দেখা যায়, গত ৬ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলছে। এ সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্টের বেশি। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজার এক জায়গায় স্থির থাকার জায়গা নয়। এখানে উত্থানের পর আসে পতন, আবার পতনের পর উত্থান। গত ৬ দিন লেনদেন ও সূচকের টানা পতন হয়েছে। বাজার এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।তাঁরা আশা করছেন, দু’একদিনের মধ্যে বাজার ঠিক হয়ে যাবে।
রোবববার লেনদেন হওয়া মোট কোম্পানির মধ্যে ৫৯ শতাংশ দরপতনে ছিল। মাত্র ২৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। অন্যদিকে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৪৪ কোম্পানির মধ্যে ২৮টির বা ৬৪ শতাংশের দর বেড়েছে। বি ক্যাটাগরিতে ৪৩ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। এদিন গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব খাতে শেয়ারদর ও লেনদেন কমেছে। একমাত্র পাট ও কাগজ খাত ইতিবাচক ছিল।
অন্যদিকে, ব্যাংক খাতে ৭০ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। এ খাতে লেনদেন হয় মাত্র ৭২ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশ। ব্যাংক খাতে লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। বস্ত্র খাতে মাত্র ৩৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতে লেনদেন কমছে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। তবে বস্ত্র খাতের আনলিমা ইয়ার্ন, এইচ আর টেক্স, প্রাইম টেক্স ও সিমটেক্স দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে। প্রকৌশল খাতে ৪৩ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। এ খাতে লেনদেন কমেছে ১২ কোটি টাকা। এ খাতের বিডি অটোকার ও বিডি ল্যাম্পস দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে।
অপরদিকে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে মাত্র ১৮ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। এ খাতে লেনদেন কমেছে সাড়ে ৯ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লেনদেন কমেছে সাড়ে ১৭ কোটি টাকার বেশি। এ খাতের ৪৪ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। গতকাল লেনদেনের শীর্ষে থাকা সিমটেক্সের সাড়ে ১৩ কোটি, বিডি থাই ১২ কোটি, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ১০ কোটি, লংকাবাংলা ফিন্যান্সের ৯ কোটি, কনফিডেন্স সিমেন্ট আট কোটি, প্যারামাউন্ট টেক্স সাড়ে সাত কোটি, স্কয়ার ফার্মা ও ফরচুন সুজ ছয় কোটি টাকার বেশি এবং ফাইন ফুডস ও শাহজালাল ব্যাংকের পাঁচ কোটি টাকা করে শেয়ার লেনদেন হয়। জিপি, স্কয়ার ফার্মা, বিএটিবিসি ও আইসিবির মতো বড় মূলধনি কোম্পানির দরপতন সূচককে বড় পতন ঘটাতে সহায়তা করেছে। দরবৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থানকারীদের মধ্যে ‘জেড’ ক্যাটাগরির ছিল আট কোম্পানি এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির তিনটি আর ‘এ’ ক্যাটাগরির মাত্র একটি কোম্পানি।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১১ ডিসেম্বর ২০১৭