২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটোত্তর নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।
অর্থমন্ত্রণালয় আয়োজিত নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাংসদ, ৩ বাহিনীর প্রধান, সাংবাদিক সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরা অংশ নেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নৈশ ভোজ অনুষ্ঠানে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই আমন্ত্রিত সকল অতিথির সঙ্গে ঘুরে ঘুরে কুশল বিনিময় ও খোঁজ খবর নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শেষে আজ বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছর ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়। বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা; যা জিডিপির ১৩ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা; যা জিডিপির ১১ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা; যা জিডিপির শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা; যা জিডিপির ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
বাজেটে অনুন্নয়নসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা; যা জিডিপির ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিবি) ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা; যা জিডিপির ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। ফলে এডিপির মোট আকার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা; যা জিডিপির ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
সার্বিক বাজেট ঘাটতি দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা; যা জিডিপির ৫ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৫১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকার অর্থায়ন ধরা হয়েছে। যা যথাক্রমে জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৭ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৩২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকার সংস্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজকের বাজার: এলকে/এলকে ২৯ জুন ২০১৭