বাজেট লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে সব সেক্টরের জন্য ইতিবাচক: মোহাম্মদ এমরান হাসান

এ বছরের বাজেট নিয়ে এখনেন্নানা আলোচনা চলছে। ব্যাংক ডিপোজিটের উপর আবগারি শুল্ক আরোপ কিংবা ভ্যাটের হার নিয়ে কথাবার্তা যেন থামছেই না। পুঁজিবাজারে বাজেটের প্রভাবও আলোচনার বাইরে নয়। এসব নিয়ে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান আজকের বাজার ও এবি টিভির সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর কথপোকথনের অনুলিখন তাঁরই ভাষায় ছাপা হলো।

ক্যাপিটাল মার্কেটে বাজেটের প্রভাব নিয়ে প্রথমত বলতে চাই এবারের বাজেটটা সবচেয়ে বড় বাজেট প্রায় ফোর বিলিয়ন টাকা । গত বছের তুলনায় ২৬% বেশি । জিডিপির গ্রোথ হয়েছে ৭.৪% যেখানে এই বছর আশা করা হচ্ছে ৭.২৪। সুতরাং এই বছরে এটা উচ্চাভিলাসী জি ডি পি গ্রোথ টার্গেট। যদি এই জিডিপি গ্রোথটা আসলেই অর্জন করতে পারে তাহলে প্রভাবটা অন্য সব সেক্টরে আসতে পারে। আমি যদি সেক্টর বাই সেক্টরের কথা বলি তাহলে প্রথমে আসবে ব্যাংক খাতের কথা। ব্যাংকে আমরা দেখেছি করপোরেটের কোন বদল আসেনি বদলটা এসেছে ডিপোজিটের উপর আবগারি শুল্ক যেটা বেশ বাড়ানো হয়েছে। এটা নিয়ে মিডিয়া ও পত্রপত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি। দেখা যাচ্ছে যে এক মাসে কেউ যদি ডিপোজিট করে এবং ৩ মাস পর সেই টাকা তুলে নেয় তাহলে তার মূলধন থেকে আরো টাকা কমে যাবে। এ জন্য মানুষ চাইবে না ব্যাংকে টাকা রাখতে। ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে তারা টাকা ট্রানজেকশন করতে বা টাকা রাখতে পছন্দ করবে। ব্যাংকগুলোর জন্য বিপরীত মবিলাইজেশন করা ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে। সংসদে এটা যদি পাশ হয় তাহলে অবশ্যই নেগেটিভ একটা ইফেক্ট পড়বে। তবে এর মাধ্যমে যেটা হবে মানুষ পুঁজিবাজারে ইনভেস্ট করবে।

জ্বালানি ও শক্তি
এরপর যে সেক্টরের কথা বলবো তা হল ফুয়েল এন্ড পাওয়ার । এই সেক্টরে প্রথমত যেটা বলবো ডিস্ট্রিবিউশন লাইন যেটা এই বছরে প্রায় দেড় লাখ কিলোমিটার তৈরি করা হবে। যা অনেক বড় একটা টার্গেট।

একইভাবে আমরা দেখেছি ট্রান্সমিশন লাইন বিল্ড করা হয়েছে বা হবে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটারের মতো। মিশন বাস্তবায়ন হলে আরো বেশি ট্রান্সমিশন বাড়তে থাকবে । আমদের দেশের ট্রান্সমিশন যে কোম্পানিগুলো আছে লিস্টেড কোম্পানি তাদের জন্য এটি একটি পজিটিভ দিক।

তাছাড়া আমরা দেখেছি যে কাস্টম ডিউটিও কমিয়ে আনা হয়েছে । আগে যা ১০% ছিল সেটাকে এখন কমিয়ে আনা হয়েছে। কমানোর কারণে ম্যাটেরিয়ালসের বিক্রিত পণ্যের ব্যয় কমে আসবে এবং তাদের গ্রস প্রফিট মার্জিন বাড়বে। এই কোম্পানিগুলো এখনো প্রডাকশনে যায়নি বা সামনে যাচ্ছে বা মেশিনারিজ ও প্ল্যান্ট সেটআপের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে তাদের জন্য একটা পজিটিভ দিক আছে সেটা হলো এফডিজি সকল সেটের উপর ১% এর বেশি যতো ডিউটি ছিল, সেই সব গুলোতে এখন ডি অর্থাৎ তাদের যে ক্যাপিটাল এক্সপেনডিচার হতো ব্যবসা করার জন্য তা এখন কম হবে। তাই নতুন যারা আসছে তাদের জন্য এটি সুসংবাদ।

বেশির ভাগ কোম্পানি তাদের কাঁচামাল বাইরে থেকে নিয়ে আসে তো বিশেষ সুবিধা থাকার জন্য তাদের কস্ট অফ গুডস সল্ড কমে আসবে ও মুনাফা বেড়ে যাবে। ক্যানসার ড্রাগ যে কোম্পানি গুলো তৈরি করে থাকে তারাও এই সুবিধা পাবেন এবং তাদের এনলিস্ট হওয়া প্রয়োজন। টেলিকম সেক্টরে তেমন কোন বড় পরিবর্তন আসেনি। কারণ টাওয়ার সেট করতে গেলে তাদের খরচ বেড়ে যাবে। গ্রামীণফোনের ৯০% এর বেশি টাওয়ার হয়ে গেছে।তাই এখানে গ্রামীণফোনের উপর কোন প্রভাব পরবে বলে আমি মনে করি না।

অন্যান্য যারা নন লিস্টেড টেলিকম সেক্টর আছে তাদের ৫০-৫২% টাওয়ার আছে তাদের েেত্র ভালো রকমের খরচ বেড়ে যাবে। এই ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন অন্যান্য টেলিকম কোম্পানির চেয়ে কম্পিটিটিভ এডভানটেজ বেশি পাবে। এর পর ফুড ও বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রির প্রভাবের কথা বলা যায়। যেমন- অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রি যারা বিস্কুট মেনুফেকচারার। আমদানি করা বিস্কুটের উপর ডিউটি ছিল ৪৫% যা বেড়ে হয়েছে ৫০%। এর ফলে ইম্পরটের বিস্কুট এর দাম বেড়ে যাবে। এর ফলে লোকাল বিস্কুট কোম্পানিগুলো কম্পিটিটিভ সুবিধা পাবে। তাই অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রি এই ক্ষেত্রে লাভবান হবে।

টোব্যাকোর কিছু পলিসিগত পরিবর্তন থাকে বাজেটে নিরুসাহিত করার জন্য এবং এই বার যা হয়েছে ২.৫% সার্চ চার্জ করা হয়ে ফলে তাদের মুনাফা কমে আসবে ও বিড়ির দাম বেড়ে যাবে। তাদের কম দামি বিড়ির দাম যে পরিমাণে বেড়েছে তার চেয়ে আরও বেশি বেড়েছে ইন্টারন্যাশনাল সিগারেটের।তাই ইন্টারন্যাশনাল সিগারেটের তাদের লোকাল কম দামি সিগারেটে পরিণতও হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর তাদের মার্কেট শেয়ার ভালো হচ্ছে মিড ও হাই রেঞ্জের সিগারেট গুলো থেকে। ফলে এর থেকে তাদের মুনাফার বড় অংশ আসে। লো রেঞ্জের সিগারেটের প্রাইসিং বাড়ার ফলে বড় একটা গ্রুপ মিড ও হাই রেঞ্জের সিগারেটে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। যেটা পজিটিভ না। অন্য একটি বিষয় হল এফবিটিতে বড় একটি পরিবর্তন আসছে যেটা হল গত বার হল ১০% ছিল আর এই বার হয়েছে ২৫%।আর কেউ যদি ইম্পরট করে থাকে তাহলে তার ডিউটি বেড়ে যাবে। এরপর স্টিল সেক্টরে আমরা ভালো ও নেগেটিভ পরিবর্তন দেখতে পেরেছি তাদের রো মেটেরিয়াল কস্ট হল ৮০-৯৫%। র মেটেরিয়ালের জন্য যে ট্যাক্সেশন ছিল টা হল কাস্টম সিস্টেমে।আগে ২০০০ টাকা কাস্টম ফি দিতে হতো। এখন এর জন্য ১৫% ভ্যাট দিতে হবে। কায়েন্ট কেউ যদি স্ক্র্যাপ সে ইমপোর্ট করে, স্ক্র্যাপের পার টার্মের জন্য তার দেড় হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া লাগতো, কাস্টমকে দেওয়া লাগতো।

এখন সেটা টার্ম বেসিসে না থেকে যেটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে একটা ভ্যাট দিতে হবে ১৫% এবং ৫% রেগুলেটরি ডিউটি দিতে হবে। তো এমন যদি হয়, তার আগে পার টার্ম ট্যাক্স ছিলো ২৫০০০-৩০০০০ টাকায়, নরমালি এরকমই আমরা হিসেব করে দেখেছি; তো সেখানে তার ১৫০০ টাকা দিতে হতো পার টার্মের জন্য। এখন দিতে হচ্ছে, যদি ৩০০০০ টাকা হয়, ১৫% ভ্যাট এবং ৫% রেগুলেটরি ডিউটি মানে ২০%, ৬০০০ টাকা। তো আগে থেকে ৪ গুন হয়ে গেল। তো এটা আল্টিমেটলি মার্জিনটা কমে আসলো লিস্টেড কোম্পানি গুলোর জন্য। এটা ডেফিনেটলি একটা নেগেটিভ, ব্যাড ইমপ্যাক্ট। এরপর আমার কনজিউমার প্রোডাক্ট যেটা, এটাও ইন্ড্রাস্ট্রির একটা সাব-সেক্টর এটা আমি যদি বলি, আমরা দেখেছি যে এসি এবং রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারার, তাদের জন্য একটা ভালো ইনসেনটিভ ঘোষণা করা হয়েছে। যেটা হয়েছে, তাদের সাপ্লিমেন্টারি ডিউটিটা কমানো হয়েছে। এবং এসিতে যে পার্সটা তারা ইমপোর্ট করে অ্যাসেম্বলিং করার জন্য, সেই এসির পার্সের দামের উপর যে সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি ছিলো ৬০%, সেটা কমিয়ে করা হচ্ছে ২০%, এখানে একটা ম্যাসিভ চেঞ্জ। তো এসি এবং রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারার যারা আছেন, তাদের জন্য একটা পজিটিভ নিউজ এবং তাদের মার্জিনটা যিনি ইনকুড করবেন, একটি লিস্টেড ফার্ম বলে আমরা জানি ডিএসই এবং সিএসই-তে, যারা এসি ম্যানুফ্যাকচার করে থাকেন, সেটা হচ্ছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। ওদের জন্য এটা একটা মেইন পজিটিভ ইমপ্যাক্ট। সিমেন্ট ইন্ড্রাস্ট্রিতে আমরা ওরকম ম্যাসিভ চেঞ্জ দেখি নাই। যেটা হয়েছে, আমরা দেখলাম যে, ইম্পোর্টেড লাইমস্টোনের উপরে একট সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি ইম্পোজ করা হয়েছে, যেটা ২৫% করা হয়েছে। তো চেঞ্জটা অনেক ম্যাসিভ চেঞ্জ, কিন্তু ইন জেনারেল আমাদের এখানে সবকয়টি সিমেন্ট কোম্পানি, একটি ছাড়া, তারা দেখা যায় যে কিংকার থেকে সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচ্যার করে। শুধু একটি লিস্টেড কোম্পানি আছে যারা হচ্ছে লাইমস্টোন ইম্পোর্ট করে, তারপর সেখান থেকে কিংকার করে এবং কিংকার থেকে তারা সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং করে। তো তাদের এখানে একটা মেজর ইমপ্যাক্ট হতে পারে। কারণ এখানে ডিউটি ইম্পোজ করার জন্য তার পণ্যের খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে। সেটা হচ্ছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। এরাই একমাত্র লাইমস্টোন ইমপোর্ট করে তারপর কিংকার প্রোডিউস করে সিমেন্ট প্রোডিউস করে থাকে। তো তাদের জন্য এখানে একটা বিগ নেট ইমপ্যাক্ট হতে পারে। এই ছিলো মোটামুটি মেজর সেক্টর।

ছোট সেক্টরগুলোর অবস্থা
এছাড়াও ছোট যে সেক্টরগুলো আছে, যেমন আইটি সেক্টরের জন্য বেশ অনেক ইনসেনটিভ আমরা দেখেছি। এখানে যে সফটওয়্যারগুলো আছে, লাইক ডাটাবেস সফটওয়্যার, এটাতে অন্তত ২ পার্সেন্ট ছিলো ডিউটি এখন ২০% বা ২৫% -এ করা হয়েছে। তারপর এগুলোর সফটওয়্যারের ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। তো যারা সফটওয়্যার ডেভেলপার আছে, তাদের জন্য এটা একটা নেট পজিটিভ। কারণ আমাদের এখানে বেশ কয়েকটা আইটি কোম্পানি আছে যেমন : ড্যাফোডিল, অগ্নি, আমরা নেটওয়ার্ক, তো তাদের জন্য আমার মনে হয়, এটা নেট পজিটিভ থাকবে। টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রি যেটাকে আমরা ঠিক ছোট সেক্টরের কাতারেই ফেলতে পারি, মোট ডিএসসি মার্কেট ক্যাপিটাল ৩-৪% টেক্সপ্টাইল সেক্টর, তো একটা মিড সাইজ সেক্টর বলা যায়, এবং একটা বড় ইমপ্যাক্ট দেখেছি, তাদের কর্পোরেট ট্যাক্স রেটেও একটা চেঞ্জ আসছে। টেক্সটাইল বলতে শুধু আরএমজি যারা ম্যানুফ্যাকচার করে থাকে, ২০% ছিলো তাদের ট্যাক্স রেট, সেটা থেকে এখন কমিয়ে করা হয়েছে ১৫%। তো টেক্সটাইল কোম্পানিগুলো এখানে স্টেট একটা বেনিফিট পাবে। আরেকটা যেতা হয়েছে, সিরামিক সেক্টর, এটা মাইক্রোল সেক্টর; এদেরও যে ডিউটি ছিলো সিরামিক র ম্যাটারিয়ালের উপর, সেটাতে আমরা দেখেছি কমিয়ে ১০% থেকে ৫% করা হয়েছে। তো সিরামিক সেক্টরে এখানে পণ্যের দামটা কমে আসবে, এটাও ছোট সেক্টরগুলোর মধ্যে একটু উল্লেখ করার মতো। তাছাড়া আমরা দেখেছি যে গ্লু যেটা, ইন্ড্রাস্ট্রিতে যে গ্লু ব্যবহার করা হয়, তার উপর ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এটাও ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য একটা পজিটিভ নিউজ।

মিউচুয়াল ফান্ডের ভবিষ্যৎ
মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পটা আসলে আনফরচুনেটলি সেইভাবে ডেভেলপ করতে পারে নাই আমাদের দেশে। কিন্তু, আমি বলবো যে, গত দুই বছরের তুলনায় অবস্থা অনেকটাই ভালো। আমাদের অন্যান্য দেশের মার্কেটে দেখা যায়, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বাজারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে থাকে। মোস্ট সে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন থাকে মার্কেটে, তার ২০-৩০% পর্যন্ত থাকে মিউচুয়াল ফান্ড। তো সেখানে মিউচুয়াল ফান্ডের বড় একটা কন্ট্রিবিউশন থাকার কারণে, মার্কেটের ভলাটিলিটি বেশ কিছুটা কম থাকে। আর মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজার যারা, তারা প্রফেশনালি ফান্দ ম্যানেজ করে। এই জন্য হুট করে সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়া বা কিনে ফেলা, এই জিনিসটা কম দেখা যায়। বাজারে স্ট্যাবিলিটি বেশি থাকে, যদি মিউচুয়াল ফান্ডের দখলে বাজারটা বেশি থাকে। আমাদের দেশে এটা মাত্র দুই পার্সেন্ট হবে, কিন্তু এটা অনেক কম।

আমি যেটা মনে করি, মিউচুয়াল ফান্ডগুলো আমাদের এখানে কোজের মিউচুয়াল ফান্ড অনেক বেশি, ওপেনের মিউচুয়াল ফান্ড অনেক কম। আস্তে আস্তে করে এই সিনারিওটা চেঞ্জ হয়ে যাবে। আমার মনে হয় ওপেন এন্ডেড মিউচুয়াল ফান্ডের খুব বড় একটা প্রসপেক্ট আছে ফিউচারে। যেটা করতে হবে, আমাদের মতো যারা ফান্ড ম্যানেজার আছে, আমাদেরকে রেগুলেটর এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সাহায্য নিয়ে এটার প্রচারণায় ভালো করে এগিয়ে আসতে হবে। আপনি ইন্ডিয়াতে গেলে দেখবেন যে ওখানে মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে অনেক বিলবোর্ড দেখবেন, টিভি অ্যাড দেখবেন।

কোম্পানির অবস্থা
আমাদের কোম্পানির অ্যাসাইমেন্টে যারা আছে তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমার মনে হয় ভবিষ্যতে এর প্রফিট ভালো আসবে।এখানে আমাদের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা ছিল বিভিন্ন কারণে তা নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে সেগুলো কোম্পানির উপর প্রভাব পড়ছে। আবার যেটা হচ্ছে যে অনেক ফান্ড ম্যানেজার আছে সব ফান্ড ম্যানেজার কিন্তু সমান না।তারা ভিন্নভাবে সার্ভিস দিচ্ছে। আস্তে আস্তে এগুলো আইডিনটিফাই করছে যে কোন ফান্ড ম্যানেজার কিভাবে পারফর্ম করছে। এই পারফরমেন্সের উপর নির্ভর করে ফার্মগুলো এগিয়ে যাচ্ছে এবং ডিসকাউন্ট দিচ্ছে কেউ ৮% আবার কেউ ১০% ।

এনআইভি বৃদ্ধির কারণ
আমরা প্রথম যখন লিস্টেড হই ২০১৫ সালে তখন এর ৩ মাস পরেই ১০% ডিসকাউন্ট দিই। তারপর ২০১৬ সালে আমরা ১৩% ক্যাশ রিটার্ন দিয়েছি।এ বছর আমাদের এনআইভি বেশ ভালো আছে।মোটামুটি বেশ ভালোই চলছে। আমরা এই পর্যয়ে পৌছার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি গ্রহন করেছি। এগুলোর মধ্যে ফার্মালিজমের জন্য বড় একটা সচিবালয় করেছি যেটা ইমোশোনাল থ্রেট করা যেটা,খুব ল্যান্ডমভাবে ভালো দামে সেল করলাম,এভাবে ফার্মালিজম করে থাকলে ফার্মার সিয়ম কানুন ভালো থাকে। আবার নিয়ম কানুন ভালো না থাকলে আমাদের লস হয়ে যায়। এভাবে আমরা মাসিক একটা কমিটি করে থাকি যার মাধ্যমে আমাদেও ফার্মার ডিসিপ্লিন ঠিক থাকে। ঐ ভাবেই আমাদেও ফার্ম ম্যানেজ করে থাকি। আমাদেও একজন টিম আছে যারা এ্যাসাইমেন্ট থেকে শুরু করে কল সেক্টর এবং আমরা সবাই মিলে আলাপ আলোচনা কওে থাকি রিচার্জ ব্যাকাপ নিয়ে, ফার্মালিজম, ভ্যালুয়েশণস টেকনিক্যাল নিয়ে,ডায়ালাইসিস নিয়ে আমরা একটা কমিটি তৈরী করে থাকি যেগুলো আমরা খুব ভালোভাবে পরিচালনা করে থাকি। তারপর আমাদেও নিজস্ব বিল্ডার ছাড়া যেগুলো লোকাল টিম আছে আমরা তাদেও সাহায্য নিয়ে থাকি। তাদেও রিচার্জ গুলো নিয়ে আমাদেও রির্চাজের সাথে মিলিয়ে দেখি এটা করার মতো কিনা। ভালো হলে আমরা সেগুলোর সাথে মিলিয়ে রির্চাজ করতে সুবিধা হয়। এভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

নতুন বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে
নতুন বিনিয়োগ কারীদের উদ্দেশে আমি বলব যে আমরা যেমন ফার্মালিজম করি যে সময় ব্যয় হয় তাদের জন্য এতো সময় ব্যয় করা সম্ভব না। তবে যারা বিনিয়োগ করেন তারা যেন একটা গাইড লাইন তৈরী করে দেন বিনিয়োগ করেন। তারা গাইড লাইন তৈরী কিভাবে করবে তার জন্য ানেক ভালো ভালো বই আছে,তাছাড়া এখন ইন্টারনেটের যুগ সেখান থেকে তারা জ্ঞান অর্জন করে গাইড লাইন তৈরী করেন। এছাড়াও আমি বলব যারা বিনিয়োগ করেন তারা যেন কখনো সংসার চালানোর জন্য শেয়ার বাজারের ক্ষতি যেন না হয়। শেয়ার বাজারটা হচ্ছে তার সেভিংসের জন্য। আপনার যে টাকাটাতে এখন হাত দিতে হবে না দীর্ঘ সময় আলাদা করে র্রাখতে হবে সেই টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করা উচিত। বিনিয়োগ টা হচ্ছে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী এবং টেনডেনসি থাকে যে আমরা যত তারাতারি বড় লোক হতে পারি। তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তারা ব্যাংকে টাকা না রেখে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করলে ভালো লাভবান হতে পারবে।