জস বাটলারের বীরোচিত সেঞ্চুরিতে শেষ ওয়ানডেতেও জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ছয় নম্বরে নেমে এই ইংলিশ উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান অপরাজিত ১১০ রান করেন। ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে ১১৪ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে যখন রীতিমত হারের মুহূর্ত গুণছিল ইংলিশরা সেখান থেকে বাটলারের অনবধ্য ব্যাটিংয়ের কল্যাণে জয় পায় স্বাগতিকরা। এ জয়ের ফলে পাঁচ ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ তে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করে ইংল্যান্ড।
ম্যানচেস্টারে টস জিতে আগে ব্যাট করে নেমে ৩৪.৪ ওভারে ২০৫ রানে অল আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ওপেনার তাবিজ হেড। ডি অর্কি শট অপরাজিত ৪৭ ও অ্যালেক্স ক্যারি ৪৪ রান করেন। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে মইন আলি সর্বাধিক ৪ উইকেট নেন।
সিরিজের আগের চার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার চিত্র ছিল নাজুক। প্রতি ম্যাচেই ইংলিশরা পেয়েছে দাপুটে জয়। নটিংহ্যামে ৪৮১ রান করে তো ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের ইতিহাস গড়ে। তাদের কাছে ২০৬ রানের লক্ষ্য তেমন কিছু হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এদিন ইংলিশরা যেন পথ হারালো।
বিলি স্ট্যানলেক বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন। অ্যাস্টন অ্যাগার, কেন রিচার্ডসনরাও দারুণ বল করলেন। তাতে এদিন শুরু থেকেই ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা যাওয়ার মাঝে। ১৩.১ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৫০ রান তুলতেই ৫ উইকেট পড়ে যায় ইংলিশদের। ২৯.৪ ওভার শেষে ইংলিশদের স্কোর দাঁড়ায় ১১৪/৮ উইকেটে।
সেখান থেকে আদিল রশিদকে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়লেন বাটলার। যা মহাকাব্যিক ইনিংস হয়েই থাকবে। ১৯৫ রানের মাথায় আদিশ রশিদ ফিরেন ২০ রান করেন। ইংল্যান্ড তখন জয় থেকে ১১ রান দূলে। অজিদের আশা তখন ফের জাগে।
কিন্তু জ্যাক বল দারুণ ভাব সহায়তা করলেন বাটলারকে। ১০ বল খেললেন দেখেশুনে। যাতে তার ব্যাট থেকে এলা ১ রান। অন্য প্রান্তে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান বাটলার। শেষ পর্যন্ত ১২২ বলে ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১২ টি চারের সঙ্গে তার ইনিংসে ছিল ১টি ছক্কা।
অজিদের পক্ষে বিলি স্ট্যানলেক ও কেন রিচার্ডসন সর্বাধিক ৩টি করে উইকেট নেন। অজিদের এর আগেও হোয়াইটওয়াশ করলেও এই প্রথম পাঁচ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল ইংল্যান্ড।
আজকের বাজার/এমএইচ