বান্দরবানে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা

বান্দরববানে বাকিছড়া-মাঝেরপাড়া বৌদ্ধ বিহারের উপ-অধ্যক্ষ ভান্তে মংথুই সাং (নাইন্দা ভিক্ষু-৭৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের বাকিছড়া-মাঝেরপাড়া বৌদ্ধ বিহারের উপ-অধ্যক্ষ ভান্তে মংথুই সাং প্রকাশ নাইন্দা ভিক্ষু (৭৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মুখে এবং গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে বৌদ্ধ বিহারের শ্রবন ভান্তে (শিক্ষা নবিশ)  থোই (৪২) পলাতক রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে ছোট ভান্তে বিহারের বড় বৌদ্ধ ভিক্ষু’কে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ভান্তের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্থানীয় কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সানু প্রু মারমা বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বিহারের উপ-অধ্যক্ষ নাইন্দা ভিক্ষু’কে হত্যা করেছে ছোটভান্তে ¤্রায় থোই। আগে সে ক্যায়ামলং বিহারে ছিল, সেখান থেকে এ বিহারে এসেছে তিন বছর হচ্ছে। শ্রবণ ছোটভান্তেটি মানষিকভাবে অসুস্থ। নিহত উপ-অধ্যক্ষর সঙ্গে তার শ্রবণের কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তারই জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাররা জানায়, পুরনো বৌদ্ধ বিহারটি আগে পাড়ায় নীচে ছিল। পাহাড়ের চূড়ায় নতুনভাবে বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করা হয়েছে বছর চারেক হচ্ছে। বিহারে ৩ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু, ১জন শ্রবণ ভিক্ষু (শিক্ষানকিশ) এবং ১৫ জন শিশু শ্রবণ ছাত্র থাকতো। বিহারের উপ-অধ্যক্ষ নাইন্দা ভিক্ষু’ হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া শ্রবণ ছোটভান্তে মানষিকভাবে অসুস্থ ছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াছিন আরাফাত জানান, কুহালং ইউনিয়নের বাকিছড়া-মাঝেরপাড়া বৌদ্ধ বিহারের উপ-অধ্যক্ষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরের গলায় এবং মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শ্রবনভান্তে  থোই কুপিয়ে ভিক্ষুকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে শ্রবনটি পলাতক রয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।

আজকের বাজার/আরজেড