বাপ-ছেলে মিলে যৌন নির্যাতন

বাপ-ছেলের যৌন নির্যাতন থেকে আত্মরক্ষার জন্য ছাদ থেকে লাফ দেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশের নারী শ্রমিক তানিয়া। এখন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের বেডে শুয়ে দিন পার করছেন তিনি।

জানা যায়, ১৭ এপ্রিল এক আদম ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সৌদি আরবে যান তানিয়া।রিয়াদে গিয়ে এক স্কুল অধ্যক্ষের দুই শিশু সন্তানকে দেখভাল করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সে চাকরি আর ভাগ্যে জোটেনি। তাকে রাখা হয় এক নির্জন বাড়িতে।সেখানেই নেমে আসে জীবনের অন্ধকার অধ্যায়।

তানিয়া যে বাড়িতে কাজ করতেন সে বাড়িতে অন্য কোনো নারী ছিলেন না। বাবা আর তিন ছেলের ওই বাড়িতে তানিয়া একাই নারী।যাওয়ার পর থেকেই নির্যাতনের খড়ক নেমে আসে তানিয়ার ওপর। এক বর্বর অন্ধকার যুগের অভিজ্ঞতা যেন। বাপ এবং ছেলেরা মিলে পালাক্রমে নির্যাতন করতেন।

বাপ-ছেলেদের টানা-হেচড়ার সময় একদিন আত্মরক্ষার্থে বাসার ছাদ থেকে লাফ দেন তানিয়া।পরে যেতে হয় হাসপাতালে। মারাত্মক আহত অবস্থায় দারোয়ানের সহায়তায় ভর্তি করা হয় কিং খালেদ হসপিটালে।

ওই হাসপাতালের বাংলাদেশি নার্সের মোবাইল ফোন থেকে স্বামী রাসেলকে ফোনে সব ঘটনা খুলে বলেন তানিয়া। এরপর রাসেল ঘটনার নায়ক ও মূল আদম ব্যবসায়ী এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশাল (রিক্রুটিং লাইসেন্স নং-আরএল১১৬৬) এর মালিক মকবুল হোসেনকে খুঁজে বের করেন। তানিয়ার সাথে মকবুল হোসেন ও ইকবালের লোকেরাও কথা বলে।

কিন্তু ভরসা মেলেনি এখনও। ঘটনার পর থেকেই স্বামী রাসেল সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির দুয়ারে ধর্না দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

এ বিষয়ে এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশালের মালিক মকবুল হোসেন বলেন, মেয়েটি আমার ব্যবসার সর্বনাশ করে দিয়েছে। দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে তাকে আমি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তানিয়া সৌদি আরব যেতে কোনো টাকা না দিলেও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটি এজেন্সি মালিক তানিয়াকে পাঠানো বাবদ নিয়োগ কর্তার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা পেয়েছেন।

আজকের বাজার/আরআইএস