বহুদিন থেকে বাবার কাছে মোটরসাইকেলের দাবি সন্তানের। বিষয়টি বাবার কাছে কর্ণপাত হলেও মূলমান হয়ে উঠেনি। অবশেষে এসএসসি পরিক্ষার পর মোটরসাইকেল না দিলে সন্তানের আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বাবাকে সন্তানের দাবি পূরণে বাধ্য করে। কিন্তু কে জানতো সেই শখের মোটরসাইকেলই প্রাণ কেড়ে নিবে সন্তানের?
নিহত ওই ছেলেটির নাম রিফাত আহমেদ (২২) । সে আশুলিয়ায় অবস্থিত সিটি ইউনিভার্সিটির স্নাতক (সম্মান) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। তার বাবার নাম রুহুল আমিন। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক।
শনিবার গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ২নং সিঅ্যান্ডবি বাজার এলাকায় রিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মারা গেছেন রিফাত। রিফাতের বাড়ি গাজীপুর পৌর এলাকার বেড়াইদেরচালা গ্রামে।
রিফাতের প্রাণহানির ঘটনা বর্ণনায় দিয়ে তাঁর বাবা রুহুল আমিন জানান, প্রায় মাস ছয় আগে ছেলে আবদার পূরণ করতে এপ্রিলা ব্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল প্রায় ছয় লাখ টাকা খরচ করে কিনে দিয়েছিলেন। রিফাত খুবই শান্তশিষ্ট প্রকৃতির ছেলে ছিল। তবে যখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিতে বাড়ি আসতো মোটরসাইকেলকে সঙ্গী করেই সারাদিন কাটতো তার। শনিবার সকালে মাওনা চৌরাস্তায় অবস্থান করা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল।
পরে ২নং সিঅ্যান্ডবি এলাকায় একটি রিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছিটকে পড়ে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে সে মারা যায়।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ছেলের জীবন রক্ষার্থে আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরাতে মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলাম আর সেই মোটরসাইকেলই ছেলের মৃত্যুর কারণ হলো!
আজকের বাজার/লাবনী
“>
