পূর্বেই ঠিকঠাক ছিল সবকিছু। এবার এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে নিজেই বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। তবে চলতি মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বার্সাতেই থাকছেন তিনি। এরপর ইনিয়েস্তা পাড়ি জমাবেন চীনে। সেখানে তার ঠিকানা হবে সুপার লিগের দল চংকিং ড্যাংদাইয়ে।
সব কিছুরই শেষ আছে। আর তাই হয়তো বার্সেলোনার সাথে এই মধুর সম্পর্ক্টাও শেষ করতে হলো ইনিয়েস্তাকে। কখোনোই বাজবে না বিচ্ছেদের সুর। কদিন আগে তো এমন চুক্তিই করেছিল দু-পক্ষ। হঠাৎই কি এমন ঘটলো যে বিদায়ই বলে দিতে হলো প্রিয় নীল খয়েরী জার্সিটাকেই।
বার্সেলোনার সঙ্গে ইনিয়েস্তার সম্পর্কটা আত্মার। যে সম্পর্কের কাছে অনেক সময় গৌণ হয়ে যায় রক্তের বন্ধন। ২২ বছর আগে শুরু হয়েছিল লা মেসিয়ায়। ডালপালা ছাড়িয়ে দুই দশকেরও বেশি সময় পার করে হঠাৎই তার মূল উৎপাটন। যেন স্বেচ্ছায় সব কিছু বরন করে নেয়া।
একে একে বিদায়ের অনেক উপলক্ষই তো সেরে ফেলেছেন ইনিয়েস্তা। বার্সার হয়ে ইতোমধ্যেই তার শেষ হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর কোপা দেল রে অধ্যায়। লিগটাও শেষ হয়ে যেতে পারে দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সামনের রোববারেই।
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বলেন, আমার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব কষ্টের ছিল। তারপরও নিতে হয়েছে। কারণ বাস্তবতা আমাকে মানতেই হবে। আমি বিশ্বের সেরা একটি ক্লাবে খেলেছি। আমার সব ভালোবাসা এখানেই। সব সময় শুভ কামনা থাকবে এই দলটির প্রতি।
বার্সার হয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩১টি শিরোপা জিতেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার। নিশ্চিতভাবেই সেই সংখ্যাটা পা দিচ্ছে ৩২ এর ঘরে। ৮টি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ৬টি কোপা দেল রে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে একটি শিরোপা হয়ত আজীবন আক্ষেপের খাতার থেকে যাবে। তা হলো ব্যালন ডি’অর।
১৯৯৬ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে বার্সা বয়ঃভিত্তিক দলে অভিষেক তার। এর ছয় বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু মূল দলে। পরের গল্পটা ইতিহাস। যে বইয়ে এখন পর্যন্ত মুদ্রিত আছে ৬৬৯টি পৃষ্ঠা।
এস/