বায়ু দূষণ রোধে সরকারকে আরো উদ্যোগ নিতে হবে

বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিবেচনায় বিশ্বের সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের শহরের মধ্যে ঢাকা একটি। ইতোমধ্যে ঢাকাকে বসবাসের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন। কিন্তু উন্নয়নের পাশাপাশি বায়ু দূষণ রোধে সরকারকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য বিদ্যমান আইন আরো কার্যকর ও শক্তিশালী করা জরুরি।

সোমবার ৪ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন। আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবীর প্রমুখ।

সৈয়দ আবুল মাকসুদ বলেন,দীর্ঘদিন ধরেই বায়ু দূষণের বিষয়ে আন্দোলন ও আলোচনা হয়ে আসছে। কিন্তু সরকারের উদ্যোগগুলো আলোর মুখ দেখছে না। উন্নয়নের কারণে সারাবছই রাস্তা কাটা, মাটি ভরাট ও রাস্তা মেরামতের কাজ হয়। ফলে সারাবছরই ধূলা ওড়ে। ফলে উন্নয়নের পাশাপাশি বায়ু দূষণ বাড়ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। সে অনুসারে পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করা জরুরি।

মূল প্রবন্ধে আব্দুল মতিন বলেন,ধোয়া ও ধূলায় বিষাক্ত বাতাসে বিপদগ্রস্ত সারাদেশের পরিবেশ ও মানুষ। ক্ষতিকারক অটোরিকশার আয়ু বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের আয়ু কমানোর কোনও অধিকার নেই সরকারের। তাই অবিলম্বে ১৫ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি অটোরিকশার লাইসেন্স বাতিল ও রাস্তা থেকে তা তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বায়ু দূষণ রোধে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি অটোরিকশা এবং মোটরযান অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা, গণপরিবহন বাড়ানো, ভোর ছয়টার মধ্যে রাজধানীর রাস্তাগুলো পরিস্কার করা, পুরাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে জিগজ্যাক পদ্ধতিতে ইট ভাটা চালু করা, যত্রতত্র গাছ কাটা বন্ধ ও বেশি বেশি গাছ লাগানো, সৌরসহ বিকল্প টেকসই জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করা, ধূমপান নিরোধক আইন আরও কঠোর করা এবং বায়ু দূষণ রোধে জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৫ ডিসেম্বর ২০১৭