নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপের পর আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয় ‘কিছুটা’ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৫ অক্টোবর রোববার বেলা ১১ টায় ইসি কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসে দলটির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রায় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ব্যাপী সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকারের যে অগণতান্ত্রিক আচরণ সেখানে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে খুব বেশি কিছু আশা করা যায় না। তবে আমরা কিছুটা তো অবশ্যই আশাবাদী।
নির্বাচন কমিশনকে ২০ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বিএনপি।
এ সময় তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদা বিএনপির সঙ্গে কথা বলতে পেরে সন্তুষ্ট। তিনি বিএনপির প্রস্তাবগুলো ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
এক নজরে বিএনপির প্রস্তাব সমূহ :
নির্বাচনে কোনো ইভিএম/ভিভিএম ব্যবহার করা যাবে না। মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। প্রবাসী ও কারাগারে বন্দীদের ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত করতে হবে। ছবিসহ অভিন্ন ভোটার তালিকা এজেন্ট ও সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করতে হবে। সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে তা করতে হবে। নির্বাচনের সময়ে অধিক সংখ্যক বিদেশী পর্যবেক্ষকদের এদেশে আসাকে উৎসাহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন বাধা দূরে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া এখন থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চালু করতে হবে এবং সব রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। ব্যালট পেপারে জলছাপ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেসরকারি ফল প্রকাশ করতে হবে। রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
প্রস্তাবে আরো রয়েছে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে একক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করতে হবে। বন্ধ গণমাধ্যমগুলো চালু করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। মোবাইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর নেটওয়ার্ক সচল রাখতে হবে। সিসি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট) স্থাপন করতে হবে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৫ অক্টোবর ২০১৭