তীব্র বিক্ষোভের মুখে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবরুদ্ধ থাকা তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীকে কাকরাইলে নেয়া হয়েছে।
বুধবার ১০ জানুয়ারি বিকেলে তাকে কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ জামাতের মারকাজে (অফিস) নেয়া হয়।
পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত মাওলানা সাদকে শাহজালাল বিমানবন্দরেই রাখা হবে বলে জানান বিমানবন্দর থানার ওসি নূরে আযম মিয়া।
তিনি বলেন, মাওলানা মোহাম্মদ সাদকে আপাতত বিমানবন্দরের ভেতরেই রাখা হবে। এ মুহূর্তে তাকে ইজতেমা মাঠে নেয়া হচ্ছে না। এরপরই তাকে কাকরাইলে নেয়া হয়।
এদিকে মাওলানা মোহাম্মদ সাদকে ইজতেমা মাঠে ঢুকতে না দিতে ও কাকরাইলে অবরুদ্ধ রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিক্ষুব্ধ তাবলিগের অনুসারীরা। তারা বিমানবন্দর সড়ক ছেড়ে দিয়ে একদল টঙ্গীর দিকে আরেকদল কাকরাইল মসজিদ অভিমুখে রওনা হয়েছে।
তবে সা’দবিরোধী হিসেবে পরিচিত তাবলীগের কর্মী প্রকৌশলী মাহফুজুল হান্নান বলেন, ‘মাওলানা সা’দকে ইজতেমায় না অংশগ্রহণের শর্তে কাকরাইল মসজিদে আনা হচ্ছে। তাকে এখানেই রাখা হবে।’
বিমানবন্দরে রয়েছেন সা’দ পক্ষের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি বলেন, ‘মাওলানা সা’দ কাকরাইলে যাচ্ছেন। সেখানেই তিনি অবস্থান করবেন।’
মাওলানা সা’দ ইজতেমায় অংশ নেবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি অংশ নেবেন কিনা আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার বিষয়ে আলেমদের যে বক্তব্য তা আমরা শুনবো, এরপর দেখা যাবে তিনি ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেন কিনা।’
বিমানবন্দরে থাকা বেফাকের সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, ‘আমরা তো বিমানবন্দরে আছি। আমাদের দাবি তাকে ফেরত পাঠানো হোক। আমাদের একটাই কথা।
আজকের বাজার : এলকে/ ১০ জানুয়ারি ২০১৮